চৌগাছার খাল বিলে থৈথৈ করছে পানি, মাছ ধরতে মেতে উঠেছেন মৌসুমী শিকারীরা

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) ॥ শীত মৌসুমে একাধারে তিনদিন ঝরেছে বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে কৃষকের ফসল হয়েছে নষ্ট, কাঁচা সড়কে চলাচল হয়ে উঠেছে দুরুহ, খাল বিল, নদ নদীতে বেড়েছে পানি, মিলছে হরেক রকমের মাছ। খাল বিলে মাছ ধরতে মৌসুমী মাছ শিকারীরা মেতে উঠেছেন। মাঠে ফসল নষ্টের চাপা কষ্টো বুকে ধারন করে ওই সব মানুষ মাছ শিকার করে ক্ষনের জন্য হলেও কষ্ট নিবারনের চেষ্টা করছেন। সাগরে নিন্মচাপের ফলে গত তিনদিন ধরে একটানা বৃষ্টিপাতে নাকাল সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার মানুষ। মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে, নষ্ট হওয়ার উপক্রম উঠতি ফসলের। হঠাৎ করেই কৃষকের সাজানো সব স্বপ্ন যেন তছনছ করে দিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট সব থৈথৈ করছে, পানি বেড়েছে চৌগাছার উপর দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ ও ভৈরব নদে। প্রচন্ড শব্দ করে বয়ে চলেছে ¯্রােত, এই পানিতে দেখা মিলছে হরেক রকমের দেশী মাছসহ পোনা মাছের। ফসল নষ্টের কষ্টকে বুকে ধারন করে অনেক কৃষক জাল, ঘুনি, চারো নিয়ে ছুটেছেন নদ নদী আর খাল বিলে।

মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব নদের পাঁচনামনা সুইচ গেট এলাকায় যেয়ে দেখা যায়, দলে দলে মৌসুমী মাছ শিকারীরা নদে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। মাঝে মাঝে এক একটি জালে প্রচুর পরিমানে দেশি মাছের পাশাপাশি পোনা মাছ উঠলে চিৎকর করে উল্লাস করছেন সকলে। এ সময় কথা হয় পাঁচনামনা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, মাঠে পানির নিচে আমন ধান, ইরি বীজতলা রয়েছে পানির নিচে, কোন উপায় নেই পানি বের করার, তাই বাড়িতে বসে থেকে মনটাই কেবল খারাপ হচ্ছে সে কারনে জাল নিয়ে ভৈরবে মাছ শিকার করতে এসেছি। এ পর্যন্ত যে মাছ পেয়েছি, তাতেই খুশি। বাস চালক মাহাবুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাতের কারনে সড়কে যাত্রী নেই বললেই চলে, তাই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে বসে না থেকে মাছ শিকার করতে এসেছি। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে যে পানি বেড়েছে, বর্ষা মৌসুমে এমন পানি হয়না। নদে যেমন ¯্রােত তেমনি মিলছে নানা জাতের মাছ। আর যাই হোক ভাল মাছ মারতে পেরে কিছুটা ভাল লাগছে। স্থানীয়রা জানান, ভেরব নদটি পাশেই কপোতাক্ষ নদে যেয়ে মিশেছে। প্রচন্ড ¯্রােতের কারনে কপোতাক্ষ হতে উল্টো মাছ ভৈরবে উঠে আসছে। এছাড়া ভৈরবে পানি থাকার কারনে হরেক রকমের দেশী মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃষ্টিতে সব ধরনের মাছ চলাচল করায় নদে জাল ফেললেই মাছ হচ্ছে। সে কারনে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ এখানে মাছ শিকার করতে আসছে। পাঁচনামনা ভৈরব নদ ছাড়াও ইছাপুর, ভবানীপুর, মাড়–য়া, কান্দি, আড়পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ দলবেধে দিন ভর ভৈরবে মাছ শিকার করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।