এমন ম্যাচেও করুণ পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বৃষ্টিভেজা ম্যাচ। আজ চতুর্থ দিনের খেলাটাই যা অনুষ্ঠিত হলো। প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৩৩ ওভার কম। পুরো তিনটি দিনই বলা যায় গেছে বৃষ্টির পেটে। এমন ম্যাচেও করুন পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি ব্যাটাররা দ্রুত ৩০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে ছেড়ে দেয়ার পরই যেন পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। এক পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খানকে মোকাবেলা করতেই নাভিঃশ্বাস উঠলো ব্যাটারদের। পাকিস্তানি এই অফব্রেক বোলারের সামনে একে একে উইকেট হারিয়ে করুন দশা এখন বাংলাদেশের। ৭১ রান তুলতেই ৭টি উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। দিন শেষ করেছে ৭৬ রান নিয়ে। এখনও ২২৪ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ। ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম শূন্য রানে। যে উইকেটে সাকিব, তাইজুল, মিরাজরা বল ঘোরাতে ব্যর্থ হলেন, সেই উইকেটেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে রীতিমত ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হলেন পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খান। একাই ৬ উইকেট নিলেন তিনি। বাকিজন হলেন রানআউট।
সাকিবই এখন যা ভরসা বাংলাদেশের। ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করে যাচ্ছেন। শেষ দিন যদি তিনি কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন, যদি বাংলাদেশ ফলোঅনে না পড়ে, তাহলে ম্যাচ বাঁচানোর একটা সম্ভাবনা থাকবে। না হয়, মাত্র দুই-আড়াই দিনের ম্যাচেও করুন পরাজয় বরণ করতে হতে পারে টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামার পর যারপরনাই হতাশা উপহার দিলেন অভিষিক্ত ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ভাবা হয়েছিল, দুঃসময়ে হয়তো জয় ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের হাল ধরতে পারবেন। কিন্তু সব আশার গুড়ে বালি। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। পুরনো ওপেনার সাদমান ইসলামও আউট হলেন মাত্র ৩ রান করে। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হক রান আউট হন ১ রান করে। ২২ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর যখন মুশফিকের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করেছিল সবাই, তখন তিনি হতাশার জন্ম দিলেন। মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন। ধরলেন ফাওয়াদ আলম। ৫ রান করে বিদায় নিলেন তিনি। প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল লিটন দাসও একই পথে হাঁটলেন। বোলার সাজিদ খানের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিলেন। ১২ বল মোকাবেলায় ৬ রান করে বিদায় নিলেন তিনি। একপ্রান্তে যখন একের পর এক উইকেট পড়ছিল, তখন নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা দৃঢ়চেতা ছিলেন উইকেটে। কিন্তু তারও যেন তর সইছিল না সাজঘরে ফিরে যেতে। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করতে শুরু করলেন। ৫০ বলে ৩০ রান করে তিনি শেষ পর্যন্ত আউট হলেন এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে। তার আগে দু’বার রিভিউতে বেঁচে যান শান্ত। একবার আম্পায়ার আউট দেয়ার পর নিজে রিভিউ নেন। পরে দেখা যায় বোলারের বলটি ছিল নো। পরে তার বিরুদ্ধে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। তাতেও দেখা যায় তিনি আউট হননি। কিন্তু বারবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন। কিন্তু এই টেস্টে এসে দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। ৮ বল মোকাবেলায় কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।