আলোচিত আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পরিচয়দানকারী বহুল আলোচিত আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলা করেছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারের ভাই শামীম আল মামুন। ফেসবুকে ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট, ব্লাকমেইলিং করে চাঁদা দাবি ও শামীম আল মামুনকে মারধরের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে ডিবি পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের মৃত এরশাদ আলী ম-লের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের খড়কি স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা।
যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়া নূর মোহাম্মদ সড়কের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম আল মামুন মামলায় উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও মর্যাদাবান ব্যক্তিদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর পোস্ট দিয়ে থাকেন। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে তিনি ব্লাকমেইলিং করে চাঁদা আদায় করেন। যশোর সদর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে শামীম আল মামুনের বোন ফাতেমা আনোয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১৬ মে অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ফাতেমা আনোয়ারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ও পিতা আনোয়ার হোসেনকে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলে পোস্ট দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্ট প্রিন্ট আউট করে জনসাধারণের মধ্যে কপি বিলি করছেন। গত ১৭ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর ও তার কয়েকজন সঙ্গী যশোর শহরের সিটি কলেজ গেট এলাকায় একই কপি বিলি করছেন এ খবর পেয়ে শামীম আল মামুন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। এ সময় তিনি অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীরের কাছে এসব অপপ্রচার চালানোর কারণ জানতে চান। তখন আনোয়ারুল কবীর তাকে বলেন, আমি এসব বিলি করবো, পারলে বন্ধ করো। তার এই কথার প্রতিবাদ করলে শামীম আল মামুনকে চড় -থাপ্পড় এবং কিল- ঘুষি মারেন অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর। এছাড়া শামীম আল মামুনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দিলে মানহানিকর প্রচারণা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে দেন অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর। এছাড়া শামীম আল মামুনকে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর আহত শামীম আল মামুন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় ৩ এর বেশি মামলা এবং খুলনা সাইবার ট্র্াইব্যুনালে ৫ এর বেশি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে শামীম আল মামুনের পিতা আনোয়ার হোসেন অবসরপ্রাপ্ত একজন বিজিবি সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা।