চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র রাতুল হত্যায় বোন ও ভগ্নিপতিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঝিনাইদহ মহেশপুরের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র এহতেশাম মাহমুদ রাতুল হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। হত্যাকা-ের ৪ মাস পর মামলার তদন্ত শেষে বোন ও ভগ্নিপতিসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন-কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী ম-লের ছেলে শিশির আহমেদ, তার স্ত্রী মাহমুদা মমতাজ মীম ও বন্ধু একই গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে শাওন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে সামবাজার এম.পি.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রাতুল গত ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার লস্করপুর শ্মশান মাঠের একটি পাটক্ষেত থেকে মুখে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তার লাশ প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে রাতুলের পিতা মহিউদ্দিন এসে লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মহিউদ্দিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ১৩ জুলাই চৌগাছা থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন জানান, মামলাটি ক্ললেস হওয়ায় ডিবি পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ডিবি পুলিশ থেকে তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর নানা তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহতের ভগ্নিপতি শিশিরকে আটক করেন। তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রাতুল হত্যার কথা স্বীকার করেন। প্রেমজ সম্পর্কের কারণে তিনি ও রাতুলের বোন মীম পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। এই বিয়ে পরে মেনে নিলেও জামাইকে বাড়িতে ডেকে এনে অপদস্থ করেন রাতুলের পিতা মহিউদ্দিন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী মীমের পরিকল্পনায় শিশির মোবাইল ফোন করে রাতুলকে চৌগাছার লস্করপুরে ডেকে এনে হত্যা করেন। শিশির ও তার বন্ধু শাওন দুজনে মিলে তাকে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি জানান, পরিকল্পনাকারী মীম এবং হত্যা মিশনে অংশ নেয়া শাওনকে পরে আটকও করা হয়। তদন্তে এই ৩ জনের হত্যাকা-ে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে অভিযুক্তকে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।