বোলিংয়ে স্বস্তি, ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশের কাটলো স্বস্তি-অস্বস্তি মিলিয়ে। দিনের শুরুটা বিশেষ করে বল হাতে বাংলাদেশ ছিল বেশ উজ্জ্বল। তাইজুল ইসলানের ঘূর্ণিতে ২৮৬ রানে অল আউট পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে আগের হতাশাই ভর করে বাংলাদেশের শিবির। ২৫ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের হয়ে পথ দেখানোর দায়িত্বে রয়েছেন মুশফিক ও ইয়াসির। লিটন এখনো মাঠে নামেননি। রোববার দিন শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ৮৩ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩৩০ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ১৪৫ রান। আবিদ আলী ৯৩ রানে ও শফিক ছিলেন ৫২ রানে অপরাজিত। তখনই আভাস মিলছিল বড় স্কোর গড়তে চলেছে পাকিস্তান। কিন্তু না। বোলাররা বল হাতে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান। আবিদ আলী সেঞ্চুরি করতে পারলেও বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। দিনের প্রথম ওভারেই তাইজুলের ঘূর্ণিতে বিদায় নেন আব্দুল্লাহ শফিক (৫২)। পরের বলেই তাইজুল এলবির ফাদে ফেরেন আজহার আলীকে (০)। টেস্টে ১৮বারের মতো শূন্য রানে ফিরেন তিনি। টিকতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজমও। তিনি হন মিরাজের শিকার। ৪৬ বলে এক চারে ১০ রান করে পাক অধিনায়ক। এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার আবিদ আলী। এক পর্যায়ে পেয়ে যান কাঙ্খিত সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে উইকেট গেলেও তিনি ছিলেন অটল। ফাওয়াদ (৮) ও রিজওয়ান (৫) দ্রুতই বিদায় নেন তাইজুল ও এবাদতের বলে। দলীয় ২১৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী। তিনিও তাইজুলের শিকার। ২৮২ বলে ১৩৩ রান করে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মার। শেষের দিকে ফাহিম আশরাফ ৮০ বলে করেন ৩৮ রান। তার উইকেটও নেন তাইজুল। হাসান আলী ১২ রান করে হন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার। ৩২ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে উজ্জ্বল তাইজুল ইসলাম। ৯ মেডেনে ১১৭ রানে নেন সাত উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। বাংলাদেশের হয়ে একাধিকবার ইনিংসে ৭ বা তার বেশি উইকেট নেয়ার প্রথম কীর্তিও গড়লেন তিনিই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে নিয়েছিলেন ৩৯ রানে ৮ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড যেটি। এবাদত হোসেন দুটি ও মিরাজ নেন এক উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দশার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। দলীয় ১৪ রানে হারায় দুই উইকেট। ১২ বলে এক রান করে শাহিনের বলে বিদায় নেন ওপেনার সাদমান। পরের বলেই আউট নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। দলীয় ১৫ রানে ডাক মারেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলীর বলে তিনি ক্যাচ দেন আজহারের কাছে। প্রথম ইনিংসে বাজে খেলা সাইফ হাসান থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি। ৩৪ বলে ১৮ রানে শাহিনের বলে তার কাছেই ক্যাচ দেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলী দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। দিন শেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। ১২ রানে মুশফিক ও ৮ রানে ইয়াসির আলী অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।