ছাত্রদলের কর্মসূচিতে রকিবুল ইসলাম বকুল : তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের ভাতের এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মিডনাইট ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকার সুপরিকল্পিতভাবে প্রহসনমূলক মামলায় ফরমায়েশি রায় প্রদান করে গৃহবন্দি করে রেখেছে। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদনের পরেও অসুস্থ দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছে না। কারণ তারা জানে, বেগম জিয়া মুক্ত থাকলে তারা অবাধে দেশের মানুষের সম্পদ লুটপাটের মহোৎসব করতে পারবে না।
গতকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনায় খালিশপুর ও খানজাহান আলী থানা ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংগ্রামের জন্য সবচেয়ে ত্যাগী এবং নির্যাতিত পরিবারের নাম জিয়া পরিবার। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বারবারই জিয়া পরিবার এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের মাঠে নামতে হবে। আর এই আন্দোলনে ভ্যানগার্ড হিসেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশনেত্রীর মুক্তির এই সংগ্রামে ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রয়োজনে রাজপথে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তির সভাপতিত্বে এবং খুলনা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রসিউর রহমান রুবেলের সঞ্চালনায় সকাল ১১ টায় খালিশপুর থানা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এবং বাদ জুম্মা নগর আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তির সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগর আহবায়ক সদস্য ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় খানজাহান আলী থানা বিএনপি কার্যালয়ে ওই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, স. ম আব্দুর রহমান, মনিরুল হাসান বাপ্পি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আবুল কালাম জিয়া, শের আলম সান্টু, শেখ সাদী, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, কাজী মিজানুর রহমান, রুবায়েত হোসেন বাবু, সুলতান মাহমুদ, নুুরুজ্জামান নিশাত, মিরাজুর রহমান মিরাজ, নিঘাত সীমা, মো. জাহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রুবেল, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আব্দুল সালাম, মো. জামালউদ্দীন, মোল্লা সোহরাব, আনোয়ার হোসেন, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ গোলজার হোসেন, শেখ তৈয়্যবুর রহমান প্রমুখ। যুবদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, নাদিমুজ্জামান জনি প্রমুখ। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেলাল আহমেদ সুমন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, হেদায়েতুল্লাহ দীপু, আবু জাফর, ফিরোজ মাহমুদ, অনিক আহমেদ, মাকসুদ আলম, মনির আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফারুক হিল্টন, আতাউর রহমান রুনু, ইউসুফ মোল্লা, মুনতাসির আল মামুন, খায়রুজ্জামান সজীব, রেজাউল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।