পরিবহন ধর্মঘটে খুলনায় যাত্রী ভোগান্তি চরমে : বিপাকে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় খুলনায়ও চলছে পরিবহন ধর্মঘট। সকাল থেকে দুরপাল্লার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি বা খুলনার পথে কোন পরিবহন আসেনি। না জেনে অনেকেই বাস টার্মিনালে এসে আবার ফিরে যাচ্ছেন। সাধারণ যাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রার্থী এবং চাকরি প্রার্থীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো: নরুল ইসলাম বেবী জানান, সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাসভাড়া বাড়ানো হয়নি। তেলের দামের অনুপাতে বাসভাড়া না বাড়ানোর কারণে অনেকেরই গাড়িভাড়া উঠবেনা। যে কারণে পরিবহন মালিকেরা স্বেচ্ছায় এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। বিভাগীয় মোটর শ্রমিকেরা এ ধর্মঘটের সমর্থন জানিয়েছেন।


পাইকগাছা রুটের গাড়ি চালক মো: ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে খুলনায় এসেছেন। সেদিনের খোরাক বাবদ দু’শ টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে চার বেলা খেয়েছেন, তাও এক বেলার খাবার বাকিতে। আগে ১৯ শ ৫০ টাকার তেল নিলে তিনি পাইকগাছা-খুলনা আপ-ডাউন করতে পারতেন। এখন সেখানে ২৬ শ টাকার তেল লাগবে। গাড়িভাড়া বাড়িয়ে দিলে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। মদিনা পরিবহনের চালক যুবায়ের জানান, তেলের দাম বৃদ্ধি করা হলেও পরিবহন ভাড়া বাড়ায়নি সরকার। বৃহস্পতিবার অনেক যাত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। ভাড়া যেটা আছে সেটা নিয়ে রওনা হলে তেলের টাকা উঠবেনা। কম টাকা দিলে পরিবহন মালিকেরা তা নিতে চাইবেনা। আমরা বেতন পাবনা। বেতন না পেলে আমাদের সংসার চলবে কি করে। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া কবির কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে খুলনা বাস টার্মিনালে এসে বাস ধর্মঘট দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছেন। শনিবার তার ভর্তির তারিখ। আবু বক্কার সিদ্দিক ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। শনিবার তাকে অফিসে পৌঁছাতে হবে জরুরী মিটিংয়ে।’ এদিকে ভোর থেকেই রেল স্টেশনে ছিল অস্বাভাবিক ভিড়। টিকেটে না পেয়েও অনেকেই দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শহরের ভেতরে এবং আশেপাশের জেলা-উপজেলায় বাড়তি ভাড়ায় চলাচল করছে ইজিবাইক, সিএনজি ও মাহেন্দ্র। তবে কোথাও কোথাও পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে এসব যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি ও ভাংচুর করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।