স্বেচ্ছাসেবক দলের সেলাইমেশিন ও তাঁতীদলের শীতবস্ত্র বিতরণ: তরিকুল ইসলামের পথ ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে : অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে যশোর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চার দিনের কর্মসূচি গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে। এদিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও মৎস্যজীবী দলের পৃথক আয়োজনে দুঃস্থদের মাঝে সেলাইমেশিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৃথক দুটি আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, তরিকুল ইসলামের দেখানো পথে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সর্বোচ্চ শক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তরিকুল ইসলাম আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন, তেমনি ইয়াহিয়া সরকারের সময় তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। একইভাবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন।


পরবর্তীকালে দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এই অঞ্চলে গোড়াপত্তন হয়েছিল তার হাত দিয়ে। তিনি আমৃত্যু সাধারণ মানুষের জন্যে রাজনীতি করে গেছেন। যেখানে সংকট, যেমন মানুষের অনাহার, বিপদ-আপদ সেখানে তিনি ছুটে গেছেন। তিনি কখনো নিজেকে দলের চেয়ে বড় মনে করেননি।
উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তরিকুল ইসলাম সুষমনীতি অনুসরণ করেছিলেন। তাই, শহরের সাথে সাথে গ্রামেরও উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। পাশাপাশি যশোরের সাথে খুলনার সকল জেলার উন্নয়নে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, কবরখানার উন্নয়নের পাশাপাশি মন্দির, গীর্জা, শ্মশানের উন্নয়নে তিনি অবদান রেখেছিলেন। রাজনীতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে একই সমাজে সকল দল ও ধর্মের মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বসবাস করতে পারে সেই কাজটিও তিনি করেছিলেন।
পরে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে সেলাইমেশিন এবং জেলা তাঁতীদলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, এ কে শরফদ্দৌলা ছোটলু, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর-উন-নবী, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আজম, আব্দার হোসেন খান, মীর নূর ইমাম, আনজুরুল হক খোকন, বিএনপির নেতা এহসানুল হক সেতু, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদা রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন টেনিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল কুমার বিট, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রেজোয়ানুল ইসলাম খান রিয়েল, জেলা তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।