ঝিকরগাছার দুই ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৫

0

স্টাফ রিপোটার ॥ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ঝিকরগাছার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সহিংসতায় পাঁচ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন। অপর এক নেতা হারিয়েছেন হাতের এক আঙ্গুল। আহতরা দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের লোকেরা তাদের উপর হামলা করেছে। ঘটনা দু’টি ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যা ও রাতে উপজেলার শিমুলিয়া ও পানিসারা ইউনিয়নে। পানিসারায় দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয় বলে আহতরা করেছে।
সন্ধ্যায় শিমুলিয়া মিশনপাড়ায় প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র (আনারস প্রতীক) চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক (৬৫) ও তার সহযোগী আবু চাঁদ (৬০)। তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জহুরুল হকের ছেলে রেফাতুল হক সনি।
অপরদিকে রাত সাড়ে সাতটার দিকে পানিসারা ইউনিয়নের বেজিতলা মালোপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জাকির হোসেনের নির্বাচনী কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬০), নির্বাসখোলা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক কৃষ্ণনগর গ্রামের মাহবুবুর রহমান (৫০) ও মোহিনীকাটি গ্রামের মো.মিলন (২৯)। রাতেই তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকেরা হামলা চালিয়েছে। এসময় লাবু নামে এক জন বন্দুক দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাসিম ফাহমিদ জানান, আহত সিরাজুল ইসলামের বাম হাতে বৃদ্ধ আঙ্গুল ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কেটে পড়ে গেছে। আহত সকলের অবস্থা গুরুতর।
ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ রাতে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারকালে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কোন গোলাগুলির খবর পাননি।