যশোরে চাঁদার দাবিতে স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে অমানুষিক নির্যাতন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে যশোর বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইন্সটিটিউটের এক ছাত্রকে অপহরণ করার পর চাঁদাবাজরা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় নীরব বাবু (১৭) নামে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দৈনিক লোকসমাজের ক্রাইম রিপোর্টার মীর মঈন হোসেন মুসার ভাতিজা নীরব বাবু শহরের শংকরপুর এলাকার সেলিম হোসেনের পুত্র।
স্বজনরা জানিয়েছেন, নীরব বাবু যশোর বাদশাহ ফয়সাল ইসলামী ইন্সটিটিউটের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। বিশেষ কাস শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীরব বাবু বাসায় ফিরছিল। এ সময় স্কুলের সামনে ওঁৎ পেতে থাকা শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ মানিক, হাসান ও অভিসহ ৫ জন নীরব বাবুকে বুকে ধরে তাকে অপহরণ করে এবং ইজিবাইকে তুলে বেজপাড়া তালতলা সাতক্ষীরা হোটেলের পেছনে নিয়ে মারপিট করে। পরে বেজপাড়া মাঠপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে এবং অমানুষিক নির্যাতন চালায়। দু’টি চেয়ার ভেঙে যায় নির্যাতনের কারণে। এরপর বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে নীরবের মা শামসুন্নাহার শাপলার কাছে মোবাইল ফোনে কথা বলে। দ্রুত চাঁদা না দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মীর মঈন হোসেন মুসা পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা মূল্যবান ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫শ’ টাকা নিয়ে নীরব বাবুকে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়ার পর স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা, আহমেদ তারেক সামস জানিয়েছেন, নীরবকে বেদম মারপিট করা হয়েছে। তার শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্যে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে কোতয়ালি থানা সূত্র জানিয়েছেন।