এক গ্রামেই প্রার্থী ১১ জন

0

মেহেরপুর সংবাদদাতা॥ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ প্রার্থী হতে পারেন কতজন? সাধারণত কয়েকজনকে প্রার্থী হতে দেখা যায়। তবে যদি বলা হয় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একটি গ্রাম থেকে ১১ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন, তাহলে কি বিশ্বাসযোগ্য হবে? বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে প্রার্থী মোট ১১ জন। ওই গ্রাম থেকে সদস্য পদে আটজন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নেবেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে একজন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুজন অংশ নিচ্ছেন। একই গ্রামে ১১ প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চরম আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
হেমায়েতপুর ও রুয়েরকান্দি গ্রামের একাংশ নিয়ে রাইপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৩৯৭। গত নির্বাচনে দুজন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বিজয়ী হয়েছিলেন আনারুল নামের একজন। এবার সাধারণ সদস্য পদে লড়ছেন আটজন। সদস্য প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান সদস্য (মেম্বার) আনারুল ইসলাম, ইয়ামিন কসাই, আওয়াল, মুন্তাজ আলী, সাবেক সদস্য ফারুক হোসেন, বেল্টু মিয়া, শরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে অংশ নিচ্ছেন ইসমত আরা ও জুলেখা খাতুন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন আলফাত উদ্দিন কালু। গত এক বছর ধরে তারা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে এবার ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীরা সবাই নিজেকে যোগ্য এবং বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। তারা নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী আনারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, তিনি নির্বাচিত হয়ে তার ওয়ার্ডে অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন। ওয়ার্ডবাসীকে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডসহ নানা ধরনের সুবিধা দিয়েছেন। তিনিই বিজয়ী হবেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের সন্তুষ্ট করতে চায়ের দোকানে বিভিন্ন ধরনের আপ্যায়ন করাচ্ছেন প্রার্থীরা। সুন্নতে খতনা থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। অনেকে কন্যা দ্বায়গ্রস্ত পিতার কাছেও সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন। তবে কোনো কোনো প্রার্থীকে অন্য প্রার্থীর বিষোদগারও করতে দেখা গেছে। সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ইসমত আরা জাগো নিউজকে বলেন, তিনি পরপর দুবার এ ওয়ার্ডে মেম্বার ছিলেন। জনগণের উপকার করেছেন। জনগণের জন্য বরাদ্দের সবটুকু সঠিকভাবে বন্টন করেছেন। এবারো তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন। সাবেক মেম্বার ফারুক হোসেন বলেন, তিনিও মেম্বার থাকাকালীন জনসেবা করেছেন। বিএনপি সরকারের আমলে বরাদ্দের মালামাল বন্টনে বৈষম্য ছিল। তার পরও জনগণের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বন্টনের চেষ্টা করেছেন। হেমায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা নয়ন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তিনি এবার নতুন ভোটার হয়েছেন। সবাই ভোট চাইছেন। তবে বুঝেশুনে ভোট দেবেন তিনি। একই কথা জানালেন শান্তা ইসলাম ও হযরত আলী। তাদের ভাষ্য, যারা নির্বাচন করছেন তাদের মধ্যে তিনি যোগ্য তাকেই ভোট দিবেন।