জুয়েলার্সের সিন্দুক ট্রাকে করে নিয়ে গেল চোরেরা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার ভোরে যশোরে একটি সোনার দোকানের (জুয়েলার্সের) তালা ভেঙে সিন্দুক ট্রাকে করে নিয়ে গেছে দুবর্ৃৃত্তরা। শহরের বকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু দোকানে কত ভরি সোনার অলঙ্কার ও নগদ টাকা ছিলো সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি মালিক। অপরদিকে পুলিশ বলছে, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক। তবে বিষয়টি তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। শহরের বকচরে ফাহিম প্লাজা নামে ৫ তলা একটি ভবন রয়েছে। ওই ভবনের নিচতলায় সীমা জুয়েলার্স নামে ওই দোকান অবস্থিত।
ভবন মালিক এসএম ইয়াকুব আলী জানান, সীমা জুয়েলার্সের মালিক বেজপাড়ার সঞ্জিত সরকার। ১৫ বছর তার দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা করেন তিনি। সোমবার ভোরে তাদের নৈশ প্রহরী শহিদুল ইসলাম এসে তাকে দোকানে চুরির ঘটনাটি জানান। পরে পুলিশকে জানানো হয়। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা নৈশ প্রহরীকে বেধে তালা ভেঙে দোকানের ভেতরে ঢুকে সেখান থেকে সিন্দুক একটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সিসি টিভির ভিডিও চিত্রে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রাখার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তালা ভেঙে দোকানে ঢোকে। এরপর তারা ভেতর থেকে সিন্দুক বের করে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটের দিকে ট্রাকে তুলে পালিয়ে যায়। ওই সময় নৈশ প্রহরী ঘুমিয়ে ছিলেন বলে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সঞ্জিত সরকার মূলত বন্ধকি ব্যবসা করেন। গাড়ির শ্রমিকেরা তার কাছে সোনার অলঙ্কার বন্ধক রেখে টাকা নিতেন। এছাড়া সঞ্জিত সরকার দোকানে নাক ফুলের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি বিকাশে টাকা লেনদেনের ব্যবসা ছিলো। সঞ্জিত সরকার বলেন, তার দোকানে কত ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ টাকা ছিলো তার সঠিক হিসেব বলতে পারবেন না। হিসেব করে পরে বলবেন এই কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, দোকান মালিক একেক সময় একেক কথা বলছেন। প্রথমে পুলিশকে ৫০ ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ ৪ লাখ টাকা চুরির কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে আবার পুলিশকে বলেন, দোকানে ১০ ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ ৩ লাখ টাকা ছিলো। তিনি বলেন, সঞ্জিত সরকারের দোকান থেকে দুর্বৃত্তরা সিন্দুক নিয়ে গেছে এটা সত্য। কিন্তু সোনার অলঙ্কার ও নগদ টাকার বিষয়ে সঞ্জিত সরকার একেক সময় একেক কথা বলার কারণে এই চুরির পেছনে রহস্য আছে বলে তাদের সন্দেহ হয়। তবে তদন্তে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কর্মকর্তারা সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।