আট বছর হচ্ছেনা যশোর চেম্বারের নির্বাচন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন গত আট বছর ধরে হচ্ছে না। একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবে নির্বাচন হবে তাও পরিষ্কার নয়। যে কারণে একরকম স্থবির হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি। যশোরে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলার মতো তেমন বড় কোনো ফোরাম নেই। যে কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে যশোর চেম্বার অব কমার্সকে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হলে যশোরের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সাবিক) চেম্বারের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই বছর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত তিনটি প্যানেল ঘোষণা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। এ সময় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের চারজনকে পুলিশ নাশকতা পরিকল্পনার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে। তারপরও বিএনপি সমর্থিত প্যানেল নির্বাচনের মাঠে ছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন ব্যবসায়ী ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ পড়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত নির্বাচন স্থগিত করার ঘোষণা দেন। পরে ওই ব্যবসায়ীর নাম সংযুক্ত হলে মামলা নিষ্পত্তি হয়। এরপর ২০১৫ সালে আবার তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় নতুন অন্তর্র্ভূক্ত ভোটারদের কয়েকজনের টিন নম্বর ভুয়া- এমন অভিযোগ তুলে যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ পত্র পাঠান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন স্থগিত করে মন্ত্রনালয়। সেই থেকে বিগত ৮ বছর নির্বাচনবিহীন অবস্থায় রয়েছে যশোর চেম্বার।
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক জেষ্ঠ্য সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করীম বলেন, ‘যশোরের আটটি উপজেলার ১ হাজার ৬৫৯ জন ব্যবসায়ী এ চেম্বারের সদস্য। কিন্তু চেম্বার কার্যকর নেই। এটা আমাদের জন্যে চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়। প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের নানা ধরণের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু কথা বলার মতো এখানে বড় কোনো ফোরাম নেই। ফলে যশোরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে না বরং স্থবিরতা বিরাজ করছে।’ ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঈদকে সামনে রেখে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র (নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু) সড়কে মাসব্যাপি আনন্দ মেলার নামে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ব্যবস্যায়িদের আপত্তি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ওই মেলা করা হচ্ছে।
যশোর চেম্বারের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন,করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির সম্মুক্ষিন হলেও চেম্বার থাকার পরও ব্যবসায়ীরা সরকারের কোন সুবিধা পাননি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য করোনাকালীন সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে সহযোগিতা করার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চেম্বারের সহযোগিতা না পাবার কারনে সরকারের প্রনোদনা নিতে পারেননি। এর পামাপাশি অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। যা চেম্বারের মত বড় ফোরাম ছাড়া সমাধান করা সম্ভব হয় না।’ যশোরের বাজার ব্যবসায়ী সমিতিরি নেতা মীর মোশারফ হোসেন বাবু জেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে চেম্বারের র্নিবাচন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।