চুয়াডাঙ্গায় লাশের শরীরে ১০ কেজি সোনা!

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা॥ চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমন্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলার বারাদী সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালাকালীন বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে দু’চোরাকারবারী মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় একজন সাঁতরে ওপরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যান। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি সোনার বার।
রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
উদ্ধার করা লাশটি দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে মেরাজ হোসেনের (২২)।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান আরো জানান,বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেনসহ একদল বিজিবি সদস্য চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় সীমান্ত খুঁটি ৮০/১-আর হতে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৌঁছুলে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার আগে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি দেখে দু’চোরাকারবারী নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় একজন সাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যান। সে সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি সোনার বার। বারগুলো জব্দ করে উদ্ধার করা লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্যে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেছেন। জব্দ করা সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা করা হয়েছে।