অকাস- বিপজ্জনক সামরিক জোট

0

মো: বজলুর রশীদ
অকাস, Australia, United Kingdom, ও US মিলে অকাস নামকরণ। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ অকাস ঘোষণা করা হয়। বলা হচ্ছে- এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার জন্য ঐতিহাসিক নিরাপত্তা ও সামরিক জোট। এ জোট অস্ট্রেলিয়াকে ডিফেন্স টেকনোলজি সরবরাহ করবে, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক সাবমেরিন ও শক্তিশালী মিসাইল ব্যবস্থাপনা। এ জোট তাদের মধ্যে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্সও বিনিময় করবে। সাইবার স্পেস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম টেকনোলজি, সমুদ্রের তলদেশে নিরাপদ চলাচলের কৌশল, সামরিক কর্মকর্তাদের যৌথ কার্যালয়সহ নানাবিধ সামরিক ক্রিয়াকাণ্ড একই পকেট থেকে পরিচালিত হবে। মূলত চীনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য এই সামরিক জোট। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক ও চীনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পারমাণবিক শক্তিচালিত জাহাজ থাকা দ্রুত পারমাণবিক বোমা নির্মাণের পথ খুলে দেয়। এ কারণেই মার্কিনিরা ব্রিটিশ মিত্রকে পারমাণবিক প্রপালশন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তির ক্লাবে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করবে। চীনের সাথে কোনো যুদ্ধ হলে সেটি একটি পারমাণবিক যুদ্ধই হবে। কত দিনে ও কোন সময়ে পারমাণবিক সাব ক্যানবেরায় পৌঁছাবে সেটি গোপন রাখা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, পুরো ১২টি, কম পক্ষে আটটি পরমাণু চালিত সাব সরবরাহ করতে এক যুগ সময় লাগবে।
এ চুক্তির ফলে ফ্রান্সের সাথে ৯০ বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। মার্কিনিদের অকাস ক‚টনীতির কাছে প্রথম পরাজিত ফ্রান্স। ফ্রান্স বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে তার মর্যাদা অনেক হারিয়েছে। ২০০৯ সালে ন্যাটোর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ডে মার্কিন কমান্ডের অধীনে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী স্থাপনের পর থেকে প্যারিসের পতন যেন প্রত্যাশিতই ছিল। ফ্রান্স কেবল এক ইউরোপীয় মহানগরী নয়; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে এটি সারা বিশ্বের অঞ্চলগুলোর একটি নক্ষত্রপুঞ্জ, যা এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক ডোমেইনে পরিণত করেছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পাশের অঞ্চলে ১.৬ মিলিয়ন ফরাসি নাগরিক বাস করে। তাই বলা হয়, ফ্রান্স ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তি। সাবমেরিন সরবরাহের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ফ্রান্সের সাথে চুক্তি বাতিল করার এবং পরিবর্তে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা যে ধরনের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ব্যবহার করে, তা পাওয়ার মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ফরাসিদের জন্য একটি অভদ্র ধাক্কা। এ সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সরকারিভাবে ফ্রান্সকে জানানো হয়, যখন হাতে কোনো সময় ছিল না। অস্ট্রেলীয়দের সাথে যে চুক্তি করেছিল সেখানে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন সরবরাহ করতেও সক্ষম ছিল ফ্রান্স; তাই এই তিন দেশের ডিলকে বিশ্বাসঘাতকতা বলা হচ্ছে।
কেভিন রুড, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে এশিয়া সোসাইটির সভাপতি ও অ্যাংলোফোন বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞ ‘চীন পর্যবেক্ষক’-এর মতে, একটি পারমাণবিক বা প্রচলিত সাবমেরিনের জীবন ৩০ বছর। ডুবোজাহাজে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লির জীবন। তাই সাবমেরিনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে পৃথকভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বিকাশের প্রয়োজন পড়বে না। অস্ট্রেলীয়রা ১২টি সাবমেরিন পাবে। কিন্তু কিভাবে এসব সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণের বাইরে কোনো প্রযুক্তি হস্তান্তর হবে না, অথবা অস্ট্রেলীয়রা তাদের পছন্দমতো এসব সাবমেরিন পরিচালনা করার স্বাধীনতা পাবে না। অন্য কথায়, অস্ট্রেলীয় সাবমেরিনগুলো কেবল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়ক হবে, একটি স্বাধীন সামরিক বাহিনী নয়। কিউইরা এতেই খুশি, তারা প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীনের সাথে আলোচনার সময় দরকষাকষির চিপ হিসেবে কার্ড ব্যবহার করবে। চীনকে বাগে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পকার্ড তাইওয়ান যেকোনো সময় রক্তাক্ত হতে পারে। চীন বলেছে, অকাস দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক সঙ্ঘাতের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি অশুভ পদক্ষেপ। ২০১৫ সাল থেকে চীনা সেনাবাহিনী তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ দখলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তারা একটি প্রতিরূপও তৈরি করেছে। মাও সে তুং সব হাতে নিলেও ফরমোজা বা তাইওয়ান দখলে ব্যর্থ হন, সেখানে চিয়াং বসতি স্থাপন করেছিলেন, তার শাসনব্যবস্থা বিকশিত হয়েছিল। অকাস ঘোষণার পরদিন চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ-সিপিটিপিপিতে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করে, যা প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রস্তাবিত ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের উত্তরসূরি সংস্থা। দেখা যায়, বেইজিং অর্থনৈতিক বিনিময়ের প্রস্তাব দিচ্ছে, আর ওয়াশিংটন যুদ্ধের প্রস্তাব দিচ্ছে। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের আদর্শ দিয়ে প্রভাবিত, আসিয়ান কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা এরই মধ্যে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে। আসিয়ান একটি বিশাল মুক্তবাণিজ্য এলাকা গঠন করতে চায়, যার মধ্যে চীন অন্তর্ভুক্ত। ন্যাটোও নীরব। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এটির সম্প্রসারণের উচ্চাকাক্সক্ষা ছিল এবং ন্যাটো বুঝতে পারছে যে, এটি কোনো খেলার অংশ হবে না। নিউজিল্যান্ড পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের নীতি মেনে চলার ঘোষণা দিয়েছিল। ফলে পারমাণবিক সশস্ত্র জাহাজ তার বন্দরে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করে আসছে।
অকাস চুক্তি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত নিরাপত্তার বিষয়টি আবারো সামনে নিয়ে আসছে এবং পারমাণবিক প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রচলিত ক্ষমতার ভারসাম্যকেও প্রভাবিত করেছে। অকাসকে আমেরিকা ও চীনের বিশ্বব্যাপী ‘একটি নতুন শীতল যুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করছেন বিশ্লেষকরা। অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করা হলে ভারতও আরো পারমাণবিক সাব ও অন্যান্য পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দেখাবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইঙ্গিত দিয়েছেন, নয়াদিল্লি তার ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি পরিবর্তন করতে পারে। এ ধরনের ভারতীয় নীতির পরিবর্তন চীনকে একইভাবে তার প্রথম পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ধারা শুরু হতে পারে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির মার্কিন-ভারতীয় সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত শক্তির ভারসাম্যকে হেলিয়ে দিতে পারে। যদি মোদির বিজেপি তাদের নিজস্ব নৌ পারমাণবিক ক্ষমতা বাড়িয়ে অকাসকে পাল্টা জবাব দেয়, তবে নৌনিরাপত্তার পারমাণবিক কৌশলগত দাবা বোর্ডে চীনের সাথে জোটকে শক্তিশালী করতে ইসলামাবাদও বসে থাকবে না। আমরা দেখেছি, ১৯৬৮ সালের এনপিটি, জাতিসঙ্ঘের ইউএনএসসি রেজুলিউশন ২৫৫ ও ইউএনএসসিআর ৯৮৪ ধারার পারমাণবিক নিরাপত্তা আশ্বাসের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা করে ভারত মহাসাগরে পারমাণবিক যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা করছে বৃহৎ শক্তিগুলো। তাই বলা যায়, কোনো জোটে না গিয়ে, বাংলাদেশকে তার সমুদ্রসীমা, দ্বীপ এলাকা ও অফশোর নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক সাব অর্জন করা প্রয়োজন।
পরমাণু বিষয়ে ভারতকে অত্যন্ত অসাবধান দেখা গেছে। ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু ও নাগপুরে রাষ্ট্র প্ররোচিত পারমাণবিক চোরাচালান এবং ইউরেনিয়াম চুরি সহজেই সন্ত্রাসবাদীদের কালোবাজারে চোরাচালান এবং বিক্রয়ের ঘটনা ঘটেছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুতর উদ্বেগের। অসাবধানতা অনেক প্রলয় ডেকে আনতে পারে। ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্যবাদী ‘সামুদ্রিক ব্রিঙ্কম্যানশিপ’ শুরু করেছে। দ্রুত সামরিক আধুনিকীকরণ ও নৌ প্রযুক্তি অর্জন পাকিস্তানের হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী নিরাপত্তা উদ্বেগ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির জন্য সুবিধাজনক। দিল্লি এখন ওয়াশিংটনের সাথে তার নৌ জোট আরো জোরদার করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ কারণে ইসলামাবাদ ভারতকে প্রতিহত করতে অকাস ধরনের কোনো চুক্তি করতে অনুপ্রাণিত হতে পারে। ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে শান্তি বজায় রাখতে পাকিস্তান এরই মধ্যে আধুনিক যুদ্ধ ব্যবস্থাপনাসহ (সিএমএস) দূরপাল্লার টহল জেট, মানববিহীন যুদ্ধবিমান, অত্যাধুনিক অস্ত্র, স্যাটেলাইট ও নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে নৌবহরের ক্ষমতা আরো উন্নত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা উপমহাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল ও জটিল করে তুলতে পারে।
ফ্রান্স অস্ট্রেলিয়ার সাথে তার বহু কোটি ডলারের চুক্তি ভেস্তে দেয়ার জন্য তার মিত্রদের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনেছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ সম্পর্ক ‘গুরুতর সঙ্কটের’ জন্ম দিয়েছে। এটি বেশ স্পষ্ট যে, পারমাণবিক সাবমেরিন চীনকে লক্ষ্য করেই এগোচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার এই পরমাণু সাবমেরিন কি সে দেশকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে কোনো বড় প্রতিরক্ষা বিপদের মুখোমুখি হওয়া থেকে নিরাপদ রাখবে, নাকি আরো ভয়াবহ করবে; সেটি এখন আরেকটি হিসাব-নিকাশের বিষয়। অকাস বিতর্ক আরো কিছু বিষয়কে তুলে ধরেছে, যেমন বাণিজ্যিক যোগাযোগ বিপন্ন হলে নিকটতম মিত্ররাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ফরাসি প্রতিরক্ষা শিল্প একটি লাভজনক চুক্তি অর্জন করতে পারত যদি অস্ট্রেলিয়ানরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত। এটি ফ্রান্স কোনো দিন ভুলবে না। এর অনেক ঐতিহাসিক কারণ আছে। পশ্চিমা ব্লক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে নতুন ফ্রন্ট খুলছে, চীনও তার মোকাবেলায় প্রস্তুতি বাড়াবে। আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারে বিশ্ব মনে করেছিল মার্কিনিদের বিশ্বব্যাপী সামরিক সাহসিকতার ক্ষুধা দূর হয়ে গেছে। অকাস পদক্ষেপ ও ফ্রান্সের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা সে ধারণা অসার প্রমাণ করে। ওয়াশিংটন বরং চীনের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক সঙ্ঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে চীনকে চাপে রাখতে বিশাল সমুদ্র এলাকাটি কোয়াড+ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। মনে হচ্ছে ওয়াশিংটন এক বা দেড় দশকের মধ্যে একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু তাইওয়ান প্রশ্নে চীন বিরোধী শক্তিকে বেইজিং অতদিন সময় নাও দিতে পারে। এরই মধ্যে চীন অকাস শক্তির বিরুদ্ধে ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধের মানসিকতা’র অভিযোগ এনেছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে ‘পারমাণবিক সাবের জন্য চুক্তিটি আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করবে’। মালয়েশিয়া বলেছে চুক্তিটি ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার অনুঘটক’। দুর্ভাগ্যবশত মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ায় ব্যর্থ সামরিক অভিযানের পর, মনে হচ্ছে পশ্চিমা ব্লক পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিমের’ পানির গভীরতা এবং ধার পরীক্ষা করতে চাইছে। বারাক ওবামা ‘পিভট টু এশিয়া’ নীতিকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, সেটি আবার নিয়ে আসা হচ্ছে। একবার পারমাণবিক সাবের স্ফুলিঙ্গ সাগরের পানিকে উত্তপ্ত করলে সেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না-ও হতে পারে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার