অর্থনৈতিক মন্দায় বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় নি¤œ ও মধ্যবিত্তরা সব হারিয়ে এখন দিশেহারা। তার ওপর দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ভোক্তাদের অভিমত সরকারের জোরালো মনিটরিংয়ের অভাবে বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।বাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেসব পণ্য এগিয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম- মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি, ১০ দিনে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি, ১০ দিনের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলে প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও মাত্র এক সপ্তাহে খোলা চিনির কেজিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। মাত্র ১০ দিন আগেও এ পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অবশ্য আড়তদাররা বলছেন ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানিমূল্য কমলে বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে। গতকাল বড়বাজারের এইচএমএম রোডের মা ভাণ্ডারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী অশোক রায় জানান, বর্তমানে ভারতে বৃষ্টির কারণে চাষির পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে, তাছাড়া দুর্গাপূজার সময় আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বিধায় চাষিরা ক্ষেতের পেঁয়াজ তোলা কমিয়ে দিয়েছেন, এ কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আশা করছেন দুর্গাপূজার পর আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক হলে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। শুধু পেঁয়াজ নয়, এ সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ১৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবি ব্যানার্জি জানান, প্রতি সপ্তাহে পাইকারি বাজার থেকে তাকে বেশি দাম দিয়ে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। এ মুরগির দামও গত ১০ দিন আগে ছিল ১৪০ টাকা। বাজারে আবারো আরও এক দফা বেড়েছে চিনির দাম। মাত্র এক সপ্তাহ আগে খোলা চিনি বাড়তি মূল্যে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, গতকাল বড়বাজারে কেজিতে আরও ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। বাজারে বেশ কিছু আগাম শীতকালীন সবজি উঠেছে। বিক্রি হচ্ছেও অনেক বেশি দামে। গতকাল শুক্রবার বড়বাজারে শিম বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ফুলকপি ১০০/১২০ টাকা, টমেটো ৮০/৯০ টাকা,বাঁধাকপি ৬০ টাকা,উচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৫০ টাকা, ওল ৫০ টাকা, মুলো ৫০ টাকা। গতকাল বড়বাজারে জনৈক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে বড় ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। এই সুযোগে বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরাও দেশি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি এ জন্য সরকারের বাজার মনিটরিংয়ের গাফিলতাকেই দায়ী করছেন।