ধর্মতলায় এক নারীর সুদ ব্যবসা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরতলীর ধর্মতলা এলাকার মনোয়ারা বেগম নামে এক নারীকে ‘সুদখোর’ আখ্যায়িত করে তার অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন পালন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মতলার মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ধর্মতলার মৃত লিটন কর্মকারের স্ত্রী গীতা রানী অভিযোগ করেন, তার স্বামী ২০১৮ সালে মনোয়ারার কাছ থেকে সুদে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তিনি প্রতি মাসে তাকে ৫শ টাকা করে সুদ এবং এককালীন অনেক টাকা দিয়েছেন। যার পরিমান প্রায় ৫ লাখ টাকা। কিন্তু মনোয়ারার নাকি আসল টাকা পরিশোধ হয়নি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তার স্বামীকে অব্যাহতভাবে চাপ দেয়া হতো। নানা ভয়ভীতিও দেখানো হতো। মনোয়ারার আত্মীয়-স্বজন পুলিশ কর্মকর্তা এমন কথা বলে ভয় দেখিয়ে জোর করে টাকা আদায় করতেন তিনি। ভয়ে একদিন তার স্বামী পালিয়ে যান। পরে এলাকায় ফিরে এলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়া হয়। এমনকী সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে সই করিয়ে নেয়া হয় তার কাছ থেকে। এর পরদিন তার স্বামী মারা যান। তিনি আরও বলেন, মনোয়ারার তৈরি করা সমিতিতে জমা রাখা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আটকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের জমি ও বাড়ি দখল করে নিয়েছেন মনোয়ারা। রেখা পারভীন নামে আরেক নারী অভিযোগ করেন, মনোয়ারার ৩/৪টি সমিতি আছে। এলাকার লোকজনকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই সমিতিতে টাকা জমা রাখতে বলেন। এলাকার লোকজন সমিতিতে টাকা জমা রাখলে ওই টাকা আবার তিনি সুদে খাটান। অনেক সময় বিনিয়োগকারীকেও সুদে টাকা নিতে হয়। সমিতি থেকে নেয়া হলে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সমিতির নামে টাকা লোন দিয়ে ৫০ শতাংশ হারে সুদ আদায় করে থাকেন মনোয়ারা। সাঈদ হাসান নামে এক ব্যক্তি জানান, ভাদুরী নামে এক নারীর কাছে ১১ লাখ টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করেন মনোয়ারা। টাকার জন্য তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে না পেরে ওই নারী এলাকাছাড়া হয়েছেন। মানববন্ধনে এলাকার লোকজন মনোয়ারার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। তারা এ সময় বলেন, মনোয়ারার এক ভাই নাকি এসপি, আরেক ভাই ওসি এমন ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী লোকজনের জিনিসপত্র নিজের জিম্মায় রেখে দিচ্ছেন তিনি। ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো আইনি পদক্ষেপ দিতে সাহস পায় না। এখন অত্যাচারের কারণে লোকজনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে সারাধণ মানুষ তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন। তারা মনোয়ারার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চান। মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে প্লাকার্ড ও ফেস্টুন ছিলো।