খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা মহানগরের খালিশপুর থানার চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. জাকিরকে গ্রেপ্তার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকার গাজীপুরের জয়দেবপুর চাপেলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাকির খালিশপুর থানাধীন বয়রা আজিজের মোড় এলাকার মো. সোহরাব বাবুর্চির ছেলে। এর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার জাকিরসহ ৫ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান বলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর চাপেলিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিল। গত ১ মাস যাবৎ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে জাকিরের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। সে ওই এলাকায় আত্মগোপনে থেকে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলো। বৃহস্পতিবার তাকে খুলনায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন খালিশপুরের মুজগুন্নির আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন। তার বাবা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগস্ট রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মরদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছে। সাইফুলের দেখানো মতে ওই ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।