রাজগঞ্জ বোরো ধানে নেকব্লাস্ট রোগ: উৎপাদন অর্ধেক হবার আশঙ্খা

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে চলতি ইরি বোরো ধান চাষ মৌসুমে ভাইরাসজনিত নেকব্লাস্ট রোগে (শিষ শুকানো) ব্যাপক ভাবে শতশত হেক্টর জমিতে আক্রান্ত হয়েছে। যার কারনে উৎপাদন অর্ধেকও হবার আশঙ্খা করছেন কৃষকরা। এদিকে ধান চাষি কৃষকরা হতাশা হয়ে বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে ছুটে যাচ্ছে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিুমানের প্রতিরোধ ঔষধ অধিক মূল্যে কৃষকদের হাতে ধরে দিচ্ছে। ঐ ঔষধগুলি েেত প্রয়োগ করলে তাতে কোন প্রতিরোধ হচ্ছে না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। এ দিকে দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তাদের খোজ মিলছে না বলে আর্থিক তিগ্রস্থ কৃষকরা দাবি করেছেন। ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের রুহুল কুদ্দস জানাই তার ৫বিঘা জমিতে শিষ শুকানো রোগ দেখা দিলে কীটনাশক ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ এনে ৩-৪বার জমিতে প্রয়োগ করেছে কিন্তু তাতে কোন প্রতিরোধ হয়নি বলে জানিয়েছে। ঐ একই গ্রামে সাইদুল জানায় তার ৪বিঘা জমিতে শিষ শুকানো রোগ দেখা দিয়েছে। সাথে সাথে সে প্রতিষেধক ঔষধ ক্রয় করে জমিতে ছিটালে তার কোন প্রতিরোধ হয়নি। বরং আরো বেশি হয়েছে। হানুয়ার পূর্বপাড়ার নজরুল জানাই, তার ৪বিঘা জমিতে শিষ শুকানো রোগ দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রয়োগ করেছে তাতে কোন প্রতিরোধ হয়নি। যার কারনে ৪বিঘা জমিতে ২০মন ধানও পাবে না বলে জানান। এছাড়া রাজগঞ্জের বণিকপাড়ার কুচন, আবুল হোসেন, হানুয়ার পূর্বপাড়ার আক্তার, শাহিদুল মেম্বর, মনোহরপুর গ্রামের আসলাম, মানিকগঞ্জ গ্রামের গোলাম খাঁসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে এ প্রতিবেদকে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হয় মনিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হিরক কুমার সরকারের সাথে। তিনি জানান এটা একটা ভাইরাস জনিত রোগ এটাকে নেটব্লাস্ট বলে বা (ধানের শিষ শুকানো রোগ)। এটাকে ছত্রাক জানক ঔষধ ছিটালে প্রতিরোধ হয়। তবে তাদের অফিসে মনিরামপুর উপজেলায় মাত্র ১হেক্টর জমিতে এ রোগ আক্রান্ত হবার তথ্য আছে বলে জানান। উল্লেখ্য, কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ইরি বোরো ধান চাষে ল্ক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ২৭ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে।