তালেবানের উত্থানে শঙ্কিত ভারত রাশিয়াকে পাশে চায়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত বিদেশি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মধ্য এশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ভারত ও রাশিয়া। এ ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে নয়া দিল্লি ও মস্কো। বুধবার দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধানদের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের। গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরই মধ্যে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে দেশটিতে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণা করেছে তারা। তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আফগানিস্তানের মাটিকে তারা কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি হয়ে উঠতে দেবে না এবং নিজেরাও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। তবে তাদের এই আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না ভারতসহ সমমনা দেশগুলো। বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ সচিব নিকালাই পত্রুশেভ ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে বৈঠকের পর এক ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও রাশিয়া। উভয় পক্ষই বলেছে, তালেবানকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।
ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতি এবং মধ্য এশিয়া ও ভারতে সন্ত্রাসবাদের হুমকি সম্পর্কে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ। ভারতের ভয়, পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও আফগান ভূমি ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে। তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য পাকিস্তানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে তারা। আর রাশিয়ার আশঙ্কা, আফগানিস্তানের অস্থিরতা মধ্য এশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্রভাব হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছে মস্কো। রুশ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিয়ে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন পত্রুশেভ ও দোভাল। ভারত-রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বহু পুরোনো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ায় দিল্লি-মস্কো সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অবশ্য ভারত সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও তালেবান ক্ষমতা দখলের জেরে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে।