কোনোভাবে ১০০ রান করার পথ খুঁজছে নিউজিল্যান্ড

0

লোকসমাজ ডেক্স॥ অস্ট্রেলিয়াকে দেখে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। মিরপুরের ধীরগতির উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের দেশেও কাছাকাছি ধরনের উইকেট বানিয়ে অনুশীলন করেছিল তারা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই, টাইগার বোলারদের সামনে পড়েছে মুখ থুবড়ে। বুধবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬০ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যুগ্মভাবে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। কিউইদের নাস্তানাবুদ করার পথে সমান ৫টি করে উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশের পেসার ও স্পিনাররা। প্রথম ম্যাচে এমন অসহায় আত্মসমর্পনের পর এখন পরের ম্যাচগুলোতে কমপক্ষে ১০০ রান করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কেননা প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতেও ১৫ ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাই নিজেদের সংগ্রহ ১০০ ছাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে কিউইরা। চলতি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের হেড কোচ গ্লেন পোকন্যাল বলেছেন, ‘দুই দলই বোলিং ভালো করেছে। দুই দলেই ভালো স্পিনার রয়েছে। পেসাররা স্লোয়ার বলের ভালো ব্যবহার করেছে। সেদিক থেকে দুই দলের বোলিংকে কাছাকাছিই মনে হয়েছে। এটাই এখন চ্যালেঞ্জ, কীভাবে আমরা ১০০ রানে যেতে পারি। আমার মনে হয় আমরা পারব।’
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা। পরে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান টম লাথাম ও হেনরি নিকোলস। কিন্তু দলীয় ৪৩ রানে তাদের জুটি ভাঙলে, মাত্র ১৭ রানেই শেষের ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এ দুজনের ব্যাটিংকেই প্রথম ম্যাচের ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন পোকন্যাল, ‘অনেক কিছু শিখলাম। খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলছে। আমরা উইকেটের চরিত্র বুঝতে পারিনি। এতো কম রান নিয়ে খেলা চ্যালেঞ্জিং। যখন ল্যাথাম ও নিকলস জুটি গড়েছিল, আমরা ভালো করছিলাম। ওরা যেভাবে খেলেছে সেখান থেকে আমরা ইতিবাচক কিছু নিতে পারি।’ কিউই কোচ মনে করেন, আর মাত্র ২৫ রান বেশি হলেও ম্যাচটি জমে যেতো। তার ভাষ্য, ‘আমাদের মাথায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান ছিল। কিন্তু আজকের উইকেটে মনে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রান বেশিই ছিল। দুই দলের জন্যই কঠিন ছিল। আমরা যদি ২৫ রান বেশি করতাম তাহলে ম্যাচটা জমে উঠতো।’