ভারতের নির্বাচনে ৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর

0

বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা ॥ ভারতের লোকসভা (জাতীয়) নির্বাচন, যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির কারণে দীর্ঘ ৫ দিনের বন্ধ থাকছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল।
এ সময় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শনিবার ও রোববার বন্দর এবং কাস্টমসের কার্যক্রম চলবে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ২৩ মে থেকে পুনরায় বেনাপোল- পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি যথারীতি চলবে।
এদিকে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এ সময় একটু বেশি ভিড় থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
দু দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে ১৮, ১৯,২০ মে, মঙ্গলবার (২১ মে ) বাংলাদেশের যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও সোমবার (২২ মে) বৌদ্ধপূর্ণিমার ছুটি থাকবে। সে কারণে সব মিলিয়ে ৫ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। মাত্র ৭ দিনের এলসিতে পণ্য আনা যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। দীর্ঘ ৫ দিনের ছুটির কারণে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল–-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে করে সীমান্তের দু পাশে পণ্যবাহী ট্রাকজট বাড়বে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ৫ দিনের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।