লোহাগড়ায় সম্পত্তি আত্মসাত করতে যুবকের উপর হামলা, একাধিকবার মামলা দায়ের

0

লোহাগড়া(নড়াইল)সংবাদদাতা॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর এলাকায় প্রতারক চক্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আব্দুল¬াহ আল মামুন নামের এক যুবকের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত করতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। চক্রটি মামুনকে মারধরসহ কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এর আগেও কয়েকদফা নানা অঘটন ঘটিয়েছে। প্রতিবার ঘটনার পর ভুক্ত ভোগী জিডিসহ এজাহার দায়ের করেছেন। সর্বশেষ মাধরের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে লোহাগড়া থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শালনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর মা ও বোনকে নিয়ে পিতার রেখে যাওয়া সামান্য জমাজমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বাতাসি গ্রামের মৃত দবির শেখের ছেলে ভূমি দস্যু ও জালজালিয়াত চক্রের সদস্য মো. হেমায়েত হোসেনসহ সঙ্গীয়রা প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার পিতার দলিল ও রেকর্ডিয় বসতবাড়িসহ জমাজমি দখলের অপচেষ্টা করছে। ভূমিদস্যু মনির হোসেন আল্লাদ, সুফিয়া খানম, হেনা বেগম, বন্নি খানম, হেমায়েত হোসেন, প্রিন্স শেখ, তিতু শেখ, রেহানা পারভীনসহ অজ্ঞাতরা ২০১৬ সালের ১৭ মে রাতে তার বসতবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে। তাদের বার বার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চলতি বছর ২৫ মে নড়াইল আমলি আদালতে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে উপরিল্লেখিতদের নামে মামলা দায়ের করেন। যার নং-এমপি/৫৪/২১। সূত্র জানায়, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই (যশোর)। মামলা দায়েরের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা বাদী মামুনকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্যে কয়েকদফায় হুমকি দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে মামুন গত ২৮ জুন থানায় জিডি দায়ের করেন। যার নং-১২৪৮।
জালিয়াত চক্রর সদস্যরা বাদীর জমাজমি দখলের অপচেষ্টায় জমিতে গভীর নালা কেটে দখল করবার চেষ্টা করলে মামুন বাধা প্রদান করেন। ফলে ভূমিদস্যুরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে মামুন লোহাগড়া থানায় গত ১১ আগস্ট অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং- ১৩৫। থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা জানতে পেরে অভিযুক্তরা গত ১৪ আগস্ট বিকেলে মামুনকে গ্রামের মধ্যে একা পেয়ে রামদা, লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হামলায় মারাত্মক জখম হলেও দুর্বৃত্তরা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিতে বাধা প্রদান করে। এসময় মামুন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মামুনকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মারধরসহ হামলা ও হুমকির ঘটনায় লোহাগড়া থানায় গত শুক্রবার ২৫ আগস্ট রাতে আবারও এজাহার জমা দিয়েছেন। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।