শেষবারের মতো নিজ বাড়িতে জুনায়েদ বাবুনগরী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ শেষবারের মতো চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মরদেহ। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুনগর গ্রামে তার মরদেহ পৌঁছায়। এসময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকেলে সাড়ে ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাবুনগরী জীবদ্দশায় তাকে নানার কবরের পাশে দাফন করার জন্য বলেছিলেন। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের জন্য বাবুনগর মাদরাসার পাশে একটি কবরও খোঁড়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতাদের মতামত অনুযায়ী বাবুনগরীকে হাটহাজারী মাদরাসায় দাফন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, দারুল উলুম মাঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় চিরশায়িত হচ্ছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হবে। হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বাবুনগরী হুজুরের জানাজা হাটহাজারী মাদরাসায় রাত ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে হুজুরকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে।’
জানা গেছে, বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জুনায়েদ বাবুনগরী ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও তিনি কয়েক দফা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ৮ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গাড়িতে বসে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবুল হাসান এবং মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন।