তুরস্কে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ অনেকে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় তিনটি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বিধ্বস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি-দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি মাসে তুরস্ক দুটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা দাবানলে বিপর্যস্ত। দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থায় তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এরমাঝেই দেখা দিল বন্যা। তুরস্কের জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ (এএফএডি) জানিয়েছে, কাস্তামনু প্রদেশে বন্যায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিনোপে বন্যায় প্রাণ গেছে আরও ৭ জনের এবং বার্তিনে মারা গেছেন একজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোজকুর্ট শহরের পাশের একটি গ্রাম ১৮ ইঞ্চি ডুবে ছিল টানা তিন দিন ধরে। বন্যাদুর্গত এলাকায় অন্তত ৬০ থেকে ৭০ জন নিখোঁজ থাকতে পারেন এখনও। একটি ভবন ধসে ১০ জনের মতো আটকা পড়ে থাকার খবরও পাওয়া গেছে। স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন তাদের সবশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য। বন্যাকবলিত এলাকায় হেলিকপ্টার ও নৌকাযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন কর্মীরা। ৪২ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেন, এটি অভূতপূর্ব ঘটনা, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, মোবাইল ফোনও চার্জের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কারও কাছে কোন খবর জানা উপায়ও নেই। এদিকে, গত ২৮ জুলাই থেকে সরকারি হিসাবে অন্তত ২২৯টি দাবানলে আটজনের মৃত্যু হয়েছে তুরস্কে। বিভিন্ন দেশের সহযোগিতায় দাবানল এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে বলছে কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান বলেন, ইতিহাসে এবারই প্রথম দাবানলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়ল তুরস্ক। দুর্যোগ মোকাবিলায় এরদোয়ান সরকারের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা চলছে। এরমাঝেই শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাস্তামনু সফর করেন এবং বন্যায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানান। হতাহতদের পরিবারকে সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।