কখনো ভাবতে পারিনি বার্সাকে বিদায় বলতে হবে : মেসি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মাত্র মাস খানেক আগেই ট্রফি জয়ের উল্লাসে ভেসেছিলেন লিওনেল মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। পুরো ক্যারিয়ারে যার জন্য ছিল অধীর অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার পালা তার শেষ হলো ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে। ১০ জুলাই রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারিয়েই দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ট্রফিটির দেখা পেয়েছিলেন মেসি। ঠিক এক মাস পর সেই মেসির চোখে পানি। অঝোর ধারায় কান্না করলেন। চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি। হাতে ধরা টিস্যু দিয়ে বারবার চোখ মুছছিলেন। তাতেও কান্নার বেগ সামলাতে পারেননি। মেসির কান্নায় যে পরিবেশ তৈরি হলো ন্যু ক্যাম্পের প্রেস কনফারেন্স কক্ষে, তা ছুঁয়ে গেলো সবাইকে। কেউই প্রস্তুত ছিলেন না এমন একটি পরিস্থিতির জন্য। কান্নার কারণ, বার্সাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলতে হচ্ছে। ন্যু ক্যাম্পে থাকতে চেয়েও স্প্যানিশ লা লিগার নানা বিধি-নিষেধের গ্যাঁড়াকলে পড়ে আর থাকতে পারলেন না। ২১ বছরের মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে চলে যেতে হচ্ছে বার্সেলোনা ছেড়ে। এমন একটি সংবাদ সম্মেলন করতে হবে কল্পনাও করতে পারেননি মেসি। গত বেশ কিছুদিন ধরে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম অপেক্ষায় ছিল, নতুন চুক্তির পর হুয়ান লাপোর্তাকে সঙ্গে নিয়ে মেসির সংবাদ সম্মেলন কাভার করার জন্য। কিন্তু না, সংবাদ সম্মেলন ঠিকই হলো, তবে সেটা আনন্দের নয়, বিষাদের। সংযুক্তির নয়, বিদায়ের। মেসির কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকছে এমন একটি সংবাদ সম্মেলন করতে এসে। তিনি বললেন, ‘এটা সত্যিই খুব কঠিন (সিদ্ধান্ত)। আমি এর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। গত বছর আমি নিজেই চেয়েছিলাম বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে। তখন একটা যুক্তি কাজ করছিল। কিন্তু গত এক বছরে আমি এখানে ছিলাম। আমার পরিবার এবং আমি নিজেও চেয়েছিলাম এখানে থাকতে। এটা তো আমার বাড়ি। এখানেই থাকতে চেয়েছি আমি।’ অথচ আজ আমাকে গুডবাই বলতে হচ্ছে। খুব কম, মাত্র ১৩ বছর বয়সে আমি এখানে এসেছি। ২১ বছর পর আমি এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি আমার স্ত্রী এবং তিন সন্তানসহ।’ তবে কোনো সন্দেহ নেই, আগামী কয়েক বছর পর আমি আবারও বার্সেলোনায় ফিরে আসবো। কারণ আমি আমার সন্তানদের সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’