একদিনে আরও ২২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ছাড়ালো ১১ লাখ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মুখেও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছাড়ছেন। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মুখেও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছাড়ছেন। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
মাঝে একদিন বাদ দিয়ে আবারও করোনায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক মৃত্যু ২শ’ ছাড়িয়ে গেলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া গত একদিনে নতুন শনাক্তও তার আগের দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৮ জন; যা এর আগের দিন ছিল আট হাজার ৪৮৯ জন।
গত ১৭ জুলাই ২০৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। তবে তার আগের দিন (১৬ জুলাই) টানা পাঁচ দিন দুইশ’র ওপরে মৃত্যু থেকে কমে ১৮৭ জনের কথা জানায় অধিদফতর।
রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৫ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৭ হাজার ৮৯৪ জন।
নতুন ১১ হাজার ৫৭৮ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেলো। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন ১১ লাখ তিন হাজার ৯৮৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন নয় লাখ ৩২ হাজার আটজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৯, আর এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৪টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ৯০৮টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৩ জন আর নারী ১০২ জন। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১২ হাজার ৪১৪ জন, আর নারী পাঁচ হাজার ৪৮০ জন।
এদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ১০০ ঊর্ধ্ব রয়েছেন একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তিন জন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২০ জন, খুলনা বিভাগের ৫৪ জন, বরিশাল বিভাগের নয় জন, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৪ জন করে।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩২ জন আর বাড়িতে ১৩ জন।