শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের শার্শায় বড় ভাইয়ের হাতে ছোট খুন হওয়ার তিন দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় লাশটি উত্তোলন করা হয়। ঘটনা শার্শা উপজেলার জিরেনগাছা গ্রামের।
সূত্র জানায়, জিরানগাছা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ জুলাই রাত ১১ টার দিকে মৃত আব্দুল কাশেমের বড় ছেলে আব্দুর রউফ নিজ হাতে তার ছোট ভাই জসিম উদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এ নিয়ে কোন কিছু হবে না বলে পুলিশকে দেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা চুক্তির মাধ্যমে আব্দুল রউফ, তার পরিবারের লোকজন ও ইউপি সদস্যের লোকজনকে সাথে নিয়ে শনিবার দুপুরে জসিম উদ্দিনকে দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গ্রামের অনেকে জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান আলী থানা পুলিশকে দেওয়ার জন্য শনিবার ৯০ হাজার এবং একদিন পর ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন জসিমের পরিবারের কাছ থেকে। তবে মঙ্গলবার লাশ উত্তোলনের সময় ইউপি সদস্য হাসান আলীকে দেখা যায়নি।
সূত্র আরও জানায়, ঘটনাটি একপর্যায়ে সাংবাদিক ও পুলিশ জেনে যায়। অতঃপর হত্যার তিন দিন পর মঙ্গলবার প্রশাসন নিহত জসিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় নিহতের বোন সুমি খাতুন শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আব্দুল রউফ, তার স্ত্রী ও মেয়েকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাাসাবাদে আব্দুল রউফ নিজে তার ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালতেও তিনি হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এসময় আদালত জসিম উদ্দিনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদেশ দেন। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র এএসপি জুয়েল ইমরান, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, শার্শা থানা পুলিশের ওসি বদরুল আলম খান, পিবিআই কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ। তবে লাশ উত্তোলনের সময় ইউপি সদস্য হাসান আলীকে দেখা যায়নি। তিনি আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।