চৌগাছায় কঠোরতার মধ্যেও মানুষের ভিড় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ১৫

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ এক দিকে করোনার চরম ভয়াবহতা অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোরতা তারপরও বাজারমুখো মানুষের ¯্রােত কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছেনা। শুক্রবার চৌগাছার সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকায় সকাল থেকেই ঢল নামে মানুষের। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলায় আরও ১৫ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার ছিলো চৌগাছর সাপ্তাহিক হাটের দিন। সকাল থেকেই করোনা আর আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোরতা উপেক্ষা করে বাজারে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। মানুষের উপস্থিতি এতটাই বেশি ছিলো যে স্বাভাবিক চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য হয়েছে। ভ্যান চালক জাকির হোসেন বলেন, পেটে ক্ষুধা, করোনার ভয়ে বাড়ি থাকলে তো চলছে না তাই ভ্যান নিয়ে এসেছি। বাজার করতে আসা উপজেলার মাশিলা গ্রামের রহিমা খাতুন, মাড়–য়া গ্রামের আয়ুব হোসেন বলেন, কিছু কেনাকাটার জন্যে এসেছি। দোকান খোলা না পেলে চলে যাবো।
এক প্রসাধনী ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবার বেচাকেনা এতটাই ভাল যে ভোর ৬ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত সন্তোষজনক বেচা বিক্রি হয়েছে। মানুষের কেনাকাটার ভাব দেখে মনে হচ্ছে তারা ঈদের কেনা কাটা করতেই বাজারে এসেছে।
এ দিকে গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলাতে আরও ১৫ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। অক্রান্তরা হলেন, উপজেলার বড়খানপুর গ্রামের সোনিয়া খাতুন (২৬), খড়িঞ্চা গ্রামের সেলিম রেজা (৩৯), নরায়নপুর গ্রামের লিলিফা বেগম (৫৮), রানিয়ালী গ্রামের জয়দেব (৩২), পাতিবিলা গ্রামের জান্নাতুল (৩১), বুড়িন্দিয়া গ্রামের রাশিদা বেগম (৫০), স্বরুপপুর গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৬০), মাকাপুর গ্রামের নুর নাহার (৪১), মুকুন্দপুর গ্রামের সাজেদা বেগম (৫০) ও রাজিয়া খাতুন (৩৩), মাশিলা গ্রামের রাবেয়া খাতুন (৩২) ও জাহানারা বেগম (৫২), জগদীশপুর গ্রামের আহসান হাবিব (২৮), কালিগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের রুহুল আমিন এবং শার্শা উপজেলার শালকোনার ইমামুল হোসেন (২৭)। আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনই নারী বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এনামুল হক জানান, দিন যত যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে মহামারি করোনা ভাইরাস।