বাঘারপাড়ায় গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাংকের যশোরস্থ এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদ মামলাটি করেছেন।
আসামিরা হলেন-বাঘারপাড়া উপজেলার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে আনোয়ার জাহিদ (এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালক), তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুন, ভাই মাজেদ মোল্লা, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শ্বশুর আমজাদ আলী মোল্লা (ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পান্তাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা), বেতালপাড়া গ্রামের সুরমান মোল্লার ছেলে আমিনুর রহমান, মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবু বাক্কার কাজীর ছেলে মুশফিকুর রহমান রতন (বর্তমানে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় শ্বশুর মাওলানা সোলাইমানের বাড়িতে বসবাস) ছান্দড়া গ্রামের তাহের পাটেয়ারীর ছেলে রাজু ভূঁইয়া। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহম্মেদের অভিযোগ, আসামি আনোয়ার জাহিদ ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়ার চতুরবাড়িয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং (চতুরবাড়িয়া এজেন্ট আউটলেট) কার্যক্রম পরিচালানার অনুমতি পান। এরপর থেকে তিনি চতুরবাড়িয়া বাজার ও আশপাশ এলাকার ১ হাজার ৪৭৮ জন গ্রাহকের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছিলেন। কিন্তু গত ২০ জুন থেকে আসামি আনোয়ার জাহিদকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় নাজির আহমেদ, আইয়ুব হোসেন ও তাসলিমা খাতুনসহ ৩৪ জন গ্রাহক ব্যাংকের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গ্রাহকদের আনোয়ার জাহিদসহ অন্য আসামিরা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন দুপুর পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ৪১ লাখ ৬শ’ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তারা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। গ্রাহকদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে বিষয়টি অনুসন্ধান করেন। এ সময় তারা অভিযোগের সত্যতা পান। তদন্তে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বাঘারপাড়া থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে ।
ডিবি পুলিশের ওসি সোমেন দাশ বলেন, তারা আসামিদের আটকের চেষ্টা করছেন।