সাকিব দলে থাকলে কী সুবিধা, জানালেন মুমিনুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বরাবরই বলতেন সাকিব আল হাসান ‘টু ইন ওয়ান’। তার বিকল্প এমনিই নেই। আর কোনো কারণে সাকিব না খেললে তাকে রিপ্লেস করতে আসলে লাগে দু’জন পারফরমার।কথা সত্য। অলরাউন্ডার সাকিবের বিকল্প বাংলাদেশে নেই। তিনি দলে না থাকলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানও লাগে। আরেকজন বাড়তি স্পিনারেরও প্রয়োজন পরে। টিম কম্বিনেশন মেলানোই কঠিন হয়ে যায়।
শ্রীলঙ্কায় লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে ছিলেন না ‘চ্যাম্পিয়ন সাকিব’। তার মত অলরাউন্ডারের অভাব বোধ হয়েছে ভীষণ। এবার জিম্বাবুয়ের হারারেতে একমাত্র টেস্টে দলে ফিরছেন তিনি।
আর সাকিবের দলে ফেরা মানেই ব্যাটিং ও বোলিংয়ের বড় ঘাটতি পূরণ। পুরো টিম ব্যালেন্সটা ঠিক হয়ে যাওয়া। দলে স্থিতি চলে আসা। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শুরুর আগে তাই সাকিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
অধিনায়ক মুমিনুল হকও সাকিবকে পেয়ে দারুণ খুশি। আজ (মঙ্গলবার) ম্যাচের আগের দিন জুম কনফারেন্সে সাকিব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে টাইগার ক্যাপ্টেনের সোজা কথা, ‘সাকিব ভাই ফেরাতে দলের কম্বিনেশনটা খুব সহজ হয়। তখন একজন বোলার কম নিয়ে বেশি ব্যাটসম্যান খেলানোর সুবিধা থাকে।’
মুমিনুল অমন কথা বলতেই পারেন। এমনিতেই সাকিব সব ফরম্যাটেই টিম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ, শক্তি। তার ব্যাটিং দলের অন্যতম নির্ভরতা। আর বোলিংটা সেরা অস্ত্র।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর কেন যেন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হরয়ে ৮ খেলায় সাকুল্যে ১২০ রান আর ৮টি উইকেট শিকার করেন সাকিব। যে পারফরম্যান্স তার জাত ও মানের সাথে একদমই বেমানান।
কিন্তু আশার কথা, হারারেতে জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৫৬ বলে ৭৪ রানের ঝড়োগতির ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩ উইকেট দখল করে সাকিব যেন জানান দিয়েছেন- আমি ঠিক ফিরে এসেছি, আবার ব্যাট ও বল হাতে ঠিক মাঠ মাতাব। তাই কোচ ও অধিনায়ক দুজনই খানিক নির্ভার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও পারফরমার সাকিব বাংলাদেশের সফলতম অলরাউন্ডার। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৬ টেস্টে সাকিবের মোট রান ৪৭৪। একটি সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ১৩৭। ৪টি হাফসেঞ্চুরিও আছে। গড় ৩৯.৫০।
বিরূপ কন্ডিশনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বরাবরই ধুঁকলেও জিম্বাবুয়ের মাটিতেও পারফরম্যান্স ততটা খারাপ না সাকিবের। ৩ টেস্টে সংগ্রহ ২২৩। সর্বোচ্চ ৮১। গড় ৩৭.১৬। তিনটি হাফসেঞ্চুরি।
অন্যদিকে বল হাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলামের (৬ টেস্টে ৪১ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে) ঠিক পরে দ্বিতীয় অবস্থানে সাকিব। ৬ টেস্টে উইকেট ২৬টি। এক ইনিংসে সেরা বোলিং ৬/৫৯। আর ম্যাচ সেরা ১০/১২৪। ৫ উইকেট ৩ বার। ১০ উইকেট ১ বার।
তবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে বল হাতে ঠিক চেনা সাকিবকে পাওয়া যায়নি কখনই। সেখানে ৩ টেস্টে মোটে ৮ উইকেট সাকিবের। একবারের জন্য ৪ কিংবা ৫ উইকেটও নেই। সেরা বোলিং ৩/৫২। এবার কি বোলিংয়ের সেই আক্ষেপটা ঘুচবে? ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বল হাতেও দেখা মিলবে চিরচেনা সাকিবের?