অধিনায়ক হিসেবে একটু চাপ তো থাকবেই : মুমিনুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইতিহাস জানাচ্ছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশে ও তাদের মাটিতে এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যার চারটিতে জিতেছে জিম্বাবুয়ানরা। আর টাইগারদের জয় তিনটিতে। দুটি সিরিজ অমীমাংসিত থেকে গেছে।বলার অপেক্ষা রাখে না, টেস্ট ম্যাচ জিতলেও জিম্বাবুয়ের মাটিতে এই ফরমেটে সিরিজ জয়ের রেকর্ড নেই টাইগারদের। জিম্বাবুয়ানদের বিপক্ষে তিনটি সিরিজ বিজয়ই দেশের মাটিতে। প্রথমবার ২০০৪-২০০৫ মৌসুমে (১-০), দ্বিতীয়বার ২০১৪-২০১৫‘তে (৩-০ ) আর শেষ বার ২০১৯ সালে (১-০)।
এছাড়া ২০১৩ আর ২০১৮ সালে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ‘এ অমীমাংসিত থেকে গেছে। ২০১৩ সালেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ ১-১ ড্র করে দেশে ফেরে টাইগাররা। এবার কী হবে ?
জিম্বাবুয়ে এ মুহূর্তে টেস্টে সবার নিচে। শক্তিতেও কম। দুর্বল, কমজোরি। তারওপর নেই নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন দুজনই করোনায় আইসোলেশনে। এই দুই চালিকাশক্তির অনুপস্থিতির পরও জিম্বাবুয়ের সাথে না পারা বড়সড় ব্যর্থতা হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
যদিও বাংলাদেশের গত দুই বছরে দেশের মাটিতেও আফগানিস্তান আর অর্ধেক শক্তির অনভিজ্ঞ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে খাবি খাওয়ার রেকর্ড আছে। তাই টেস্টে কোনো প্রতিপক্ষকেই বলেকয়ে হারানোর অবস্থায় নেই এখন টাইগাররা।
হারলে টেস্টের সামর্থ্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠবে। বাংলদেশ টেস্ট খেলতে পারে না, দেশে একটু আধটু পারলেও বাইরে গিয়ে একদমই পারে ন- সমালোচকদের সে কথার সত্যতা মিলবে।
অধিনায়ক মুমিনুল হক কী ভাবছেন? জিম্বাবুয়েকে কি হারানো সম্ভব? কী করলে টাইগাররা জিততে পারবে? জুম কনফারেন্সে এমন প্রশ্নের মুখোমুুখি হয়ে আশার বাণীই শুনিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন।
মুমিনুল মানছেন, জিম্বাবুয়ের কাছে হারলে অনেক কথা হবে। সমালোচনার মুখে পড়তে হবে, সেটা তার মাথায়ও আছে। টাইগার টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘যে কথাটা বললেন, এটা আমিও ভাবি।’
কিন্তু অধিনায়ক মুমিনুল পরের অংশটার জবাব দিয়েছেন বেশ আস্থা ও কৌশলে। তার কথা, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শুধু নয়, বিদেশের মাটিতে যে কোনো দলের সাথে টেস্ট খেলতে হলে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের তিন শাখায় সমান ফোকাস থাকতে হয়। সেই সাথে টিমওয়ার্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ দিকটায় ভালো করলে আশা করি টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারব।’
মুমিনুল স্বীকার করে নিলেন, অধিনায়ক হিসেবে একটু চাপে ভুগছেন। তবে দলের ও নিজের প্রয়োজনেই সে চাপমুক্ত থেকেই খেলতে হবে, এমন তাগিদ কন্ঠে, ‘এখানে চাপ কিছু না, এটাকে আমি ইতিবাচক দিকে দেখছি, উপভোগ করছি। এমনিতে দলের অধিনায়ক হিসেবে একটু তো চাপ থাকবেই। আমাদের এসব চিন্তা বাদ দিয়ে দল হিসেবে খেলতে হবে।’
টাইগার ক্যাপ্টেনের অনুভব ও বিশ্বাস, চাপমুক্ত হয়ে তিন ডিপার্টমেন্টেই টিম পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে তার দলই হাসবে শেষ হাসি।