যশোরে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট

0

বেনাপোল প্রতিনিধি॥যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ভোক্তারা বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরেও এ জাতীয় ট্যাবলেট পাচ্ছেন না। জ্বর-সর্দি-কাশির সাধারণ এ ওষুধ না থাকার কারণ হিসেবে দোকানিরা বলছেন সরবরাহ নেই।বেনাপোল ছাড়াও উপজেলার ১১ ইউনিয়নে যতগুলো বাজার আছে সব বাজারের কোনও ফার্মেসিতে এই জাতীয় ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, তার ছেলের হঠাৎ করে জ্বর শুরু হয়েছে। তিনি নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট কেনার জন্য লক্ষ্মণপুর বাজারের কয়েকটি ফার্মেসিতে ঘুরেছেন। কোথাও এ জাতীয় ট্যাবলেট পাননি তিনি।
বেনাপোল বড়আচড়া গ্রামের মুদি দোকানি রাশেদ হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর জন্য নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা কিনতে কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেছি। কোথাও পাইনি। এই জাতীয় ওষুধই নেই।বেনাপোল পৌরসভার বন্দর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ফরহাদ হোসাইন বলেন, কয়েক দিন ধরে আমার জ্বর। সেই সঙ্গে শরীর ব্যথা। বাজারের কোনও দোকানে নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা পাইনি। পরে ফার্মেসি দোকানির পরামর্শে অন্য ওষুধ কিনে খাচ্ছি। এখন জ্বর কিছুটা কমেছে।
শার্শার নাভারণ বাজারের নাভারণ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হওয়ায় প্রতি বছরই এসব ট্যাবলেটের চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর করোনার কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে। কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা সিরাপসহ এই জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করছে না। কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই বন্ধ আছে। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছে। এজন্য এই জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ওষুধগুলো পরিচিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশি খোঁজেন। প্রায় ১৫ দিন ধরে এই ওষুধগুলোর সাপ্লাই নেই।’ একই কথা বলছেন বাজারের অধিকাংশ ফার্মেসি ব্যবসায়ী।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এলাকার কোনও ফার্মেসিতে নাপার কোনও ওষুধ নেই। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সংকট দেখা দিলো তা আমার জানা নেই। তবে এই জাতীয় ওষুধ অন্য কোম্পানির হলেও একই কাজ করবে।