মজুদ ফুরিয়ে আসছে, দিল্লিতে টিকা পাবেন শুধু ৪৫ ঊর্ধ্বরা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥দিল্লির হাতে যে পরিমাণ কোভ্যাক্সিন মজুদ আছে তাতে চলবে আর মাত্র চারদিন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে শুধু স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৫ ঊর্ধ্বরাই টিকা পাবেন।কোভিশিল্ডের মজুদও প্রায় ফুরিয়ে গেছে, চলবে আগামী নয় দিন। হাতে টিকা না থাকায় দিল্লির শতাধিক টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
করোনাভাইরাসের টিকার সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার অনুরোধ জানিয়ে দিল্লি সরকার থেকে এরইমধ্যে কেন্দ্রে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতের যেসব এলাকায় সংক্রমণের বিস্তার মারাত্মক রূপ নিয়েছে রাজধানী দিল্লি তার অন্যতম। গত সোমবার থেকে দিল্লিতে টানা চতুর্থ সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনে দিল্লির রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড়, মাঝেমধ্যেই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অল্প সময়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন।
কোভিড: একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ভারতে মৃতের সংখ্যা নিল আড়াই লাখে
বুধবার দিল্লিতে ১৩ হাজার ২৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। মারা গেছেন ৩০০ জনের বেশি।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। কিন্তু দেশের চরম এই বিপর্যয়ে সেই ভারতেই এখন কোভিড-১৯ টিকার চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু পর এখন পর্যন্ত ভারত তাদের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশকে টিকার দুইটি ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের বেহাল এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ মোদী সময়মত পর্যাপ্ত টিকা কেনেননি।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মোদী আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমালোচিত হচ্ছেন।