যশোরে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের চার সদস্য আটক, ১৪শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে মাদক ব্যবসায়ী একটি চক্রের নারীসহ ৪ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গত শনিবার যশোরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে চক্রের নারী সদস্য অস্ত্র মামলায় আটক স্বামী ও ভাইকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে তথ্য মিলেছে।
আটককৃতরা হলেন, যশোর শহরতলীর বিরামপুরের মাসুদ রানার স্ত্রী মনিরা খাতুন (২২), শহরের ঘোপ জেল রোড ধানপট্টির নুর ইসলামের ছেলে সজল ইসলাম (২১), সদর উপজেলার সীতারামপুরের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সবুর মীর (৪৮) ও ডাকাতিয়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আবু মুসা (২৪)।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশের ইনসপেক্টর রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে এসআই মো. শামীম হোসেন ও এসআই শফিকুল ইসলাম সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের মুসলিম একাডেমির সামনে থেকে প্রথমে মনিরা বেগম, সজল ইসলাম ও আবু মুসাকে আটক করেন। সোর্সের মাধ্যমে ক্রেতা সেজে ফাঁদ পেতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অভিনব কায়দায় কালো স্কসটেপ দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট তৈরি করেছিলো তারা, যা দেখে খেজুর সদৃশ বস্তু মনে হয়েছিলো। আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার সীতরামপুরে নিজ স্যালো মেশিনের ঘর থেকে আটক করা হয় মাদক ব্যবসায়ী চক্রের অন্যতম সদস্য সবুর মীরকে। তার কাছ থেকে এ সময় ৫২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।’
ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের মূলহোতা সদর উপজেলার রহেলাপুর গ্রামের মোসলেমের ছেলে শামীম। সম্পর্কে তিনি আটক সবুর মীরের মামা। শামীম বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি নানা মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান যশোরে তার ভাগ্নে সবুর মীরের কাছে পাঠিয়ে থাকেন। এরপর সবুর মীর বিক্রির জন্য চক্রের সদস্য মনিরা বেগম, সজল ইসলাম ও আবু মুসাসহ অন্যদের কাছে সরবরাহ করেন। এভাবে তারা যশোরের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছেন।
সূত্র জানায়, মনিরা বেগমের স্বামী মাসুদ রানা ও ভাই সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মহিদুল ইসলাম একই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য। বর্তমানে এই দুজন অস্ত্র মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। সম্প্রতি ডিবি পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ প্রথমে মাসুদ রানাকে আটক করে। পরে মহিদুল ইসলাম ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন। স্বামী ও ভাইকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে তাদের পরামর্শে চক্রের সাথে মাদক ব্যবসা শুরু করেছেন মনিরা বেগম। স্বামী মাসুদ রানা যোগাযোগের জন্য তাকে মূল হোতা শামীমের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। ডিবি পুলিশ এই শামীমসহ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।