আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

“অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু গণহত্যার শামিল”

লোকসমাজ ডেস্ক॥অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনা গণহত্যা থেকে কম নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বুধবার বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এসব কথা বলেন। আনন্দবাজার জানায়, উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও মেরঠে সম্প্রতি অক্সিজেনের অভাবে কভিড রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। শুনানি নিয়ে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতি।
পর্যবেক্ষণে তারা বলেন, ‘হাসপাতালে শুধু অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা যন্ত্রণা পেয়েছি। এই ধরনের ঘটনা অপরাধমূলক এবং তা কোনো অর্থেই গণহত্যার থেকে কম নয়। আর এই গণহত্যার দায় তাদের ওপর বর্তায়, যাদের কাজ প্রতিটি মুহূর্তে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা।’ দুই বিচারপতি বলেন, ‘যখন বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়েছে, হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মতো ঘটনা ঘটছে, তখন এভাবে কী করে আমরা মানুষকে মরতে দিতে পারি?’ লখনউ ও মেরঠে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই জেলার জেলা প্রশাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত ভারত। দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে বহু করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

কৃষকের ভুলে বদলে গেল বেলজিয়াম-ফ্রান্সের সীমান্ত
লোকসমাজ ডেস্ক॥বেলজিয়ামের এক কৃষক ভুল করে ফ্রান্স সীমান্তের একটি পিলার সরিয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, সীমান্তের প্রায় সাড়ে সাত ফুট তিনি পরিবর্তন করে দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলজিয়ামের ওই কৃষক সাধারণ পাথর ভেবে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সীমানা নির্ধারণী পাথর সরিয়ে কৃষি জমির রাস্তা পরিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু তার এই অসাবধানতার কারণে দু দেশে শুধু আলোড়নই সৃষ্টি হয়নি, বরং সীমানাই বদলে গেছে। এতে বেলজিয়ামের সীমানা বেড়ে গেছে। ফ্রান্স এবং বর্তমানে বেলজিয়ামের সীমানা ৬২০ কিলোমিটার (৩৯০ মাইল) দীর্ঘ। ওয়াটারলু যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয়ের পরে ১৮২০ সালে স্বাক্ষরিত কর্টরিজকের চুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সীমান্ত। পাথরটির গায়ের খোদাই অনুযায়ী এটি ১৮১৯ সালে স্থাপন করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, একজন ইতিহাসবিদ বনের রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় লক্ষ্য করেন সীমানা চিহ্নিত করার পাথরটি ২ দশমিক ২৯ মিটার বা সাড়ে সাত ফুট সরে গেছে। তিনি তখনই বুঝতে পারেন জমি চাষের সময় ট্রাক্টরের সামনে পাথরটি আসায় বিরক্ত হয়ে ফ্রান্সের সীমানায় সরিয়ে রেখেছিলেন বেলজিয়ামের কৃষক। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এ ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক কোন্দল সৃষ্টির পরিবর্তে হাসির বন্যা বয়ে গেছে। বেলজিয়ামের এরকুইলিনস গ্রামের মেয়র ডেভিড ল্যাভক্স মজা করেই বলেন, ‘ওই কৃষক বেলজিয়ামকে বড় এবং ফ্রান্সকে ছোট বানিয়ে ফেলেছিল। এটা মোটেও ঠিক না।’ তিনি বলেন, ‘আমি খুশি ছিলাম যে আমার শহরটা বড় হয়ে গেছে।’

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে চীনা রকেট
লোকসমাজ ডেস্ক॥ চীনের একটি রকেটের বড়সড় অংশ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পৃথিবীর যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। চীনা মহাকাশ প্রকল্প ‘তিয়ানহে স্পেস স্টেশন’ এর জন্য পাঠানো একটি রকেটের ১০০ ফুট লম্বা মূল অভ্যন্তরীণ অংশ (কোর) নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত এই অংশটি যেকোনো দিন পৃথিবীর যে কোথাও পড়তে পারে। গার্ডিয়ান জানায়, ওই রকেটটির নাম- ‘লং মার্চ ৫বি রকেট’। হুনান থেকে গত ২৯ এপ্রিল এটি উৎপেক্ষণ করা হয়। রকেটটি সফল ভাবে তিয়ানহে স্পেস স্টেশনের মডিউলকে কক্ষপথে স্থাপন করতে পারলেও পরে সেটির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রাউন্ড স্টেশন। এটি এখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। তবে এর ভিতরের ১০০ ফুট লম্বা (৩০ মিটার) একটি অংশ রকেট থেকে আলাদা হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রকেটের অংশটি জনবসতিপূর্ণ কোথাও আছড়ে পড়লে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সেন্টারের বিশেষজ্ঞ জনাথন ম্যাকডোয়েল বলেছেন, পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক নয়। চীন এর আগের বার যখন ‘লং মার্চ ৫বি রকেট’ উৎক্ষেপণ করেছিল তখনও কিছু বড় লম্বা ধাতব অংশ পড়ে আইভরি কোস্টে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে এর বেশিরভাগ অংশই জ্বলে গিয়েছিল। তবুও প্রচুর ধাতব টুকরো পৃথিবীতে এসে পড়েছিল। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তখন কেউ হতাহত হয়নি।মঙ্গলবার চীনা রকেটের ওই অংশটি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করছিল। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। সেদিন পৃথিবী থেকে এটি ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় ছিল।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রকেট খণ্ডটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিল।