যশোরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে

0

বিএম আসাদ॥ করোনাকালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের তুলনায় করোনা রোগী ভর্তি হওয়ায় প্রতিদিন ৮৮ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন ব্যয় হচ্ছে। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড রেড জোন ও আইসোলেশন ওয়ার্ড ইয়োলোজোনে অবস্থানরত কোভিড-১৯ রোগী এবং সন্দেহজনক করোনা রোগী এসব অক্সিজেন ব্যবহার করছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতির আগে যে পরিমাণ তরল অক্সিজেনের প্রয়োজন হতো, বর্তমানে তার চাহিদা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিমাণ ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার লিটার। সেন্ট্রাল লিকুইট প্লান্টের মাধ্যমে নন রিব্রিদার মাস্ক দিয়ে রোগীদের শরীরে এ অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি রোগীর জন্যে ১৫ লিটার অক্সিজেন ব্যয় হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩২ জন করোনা রোগী অবস্থান করছেন রেড জোনে। আইসোলেশনে ইয়োলো জোনে অবস্থান করছেন ১০/১২ জন। রোগী কখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার কমে যাচ্ছে।
হাসপাতালের করোনা ম্যানেজমেন্ট কাজে নিয়োজিত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আরিফ আহমেদ ও মেডিকেল অফিসার ডা. দিপাঞ্জন সাহা বলেছেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে ৪২টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হয়েছে। যা অতিরিক্ত। একেক সিলিন্ডারে থাকে ৮ হাজার লিটার অক্সিজেন। সে হিসেবে ৩ লাখ ৩৬ হাজার লিটার অক্সিজেন রয়েছে ৪২টি সিলিন্ডারে।
প্রতিদিন ১ লাখ ৪৪ হাজার লিটার হতে ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার অক্সিজেন খরচ হচ্ছে করোনা রোগীদের পেছনে। রেডজোন ও আইসিইউ ওয়ার্ডের জন্যে এ অক্সিজেন বরাদ্দ রয়েছে। যদিও আইসিইউ ওয়ার্ডে এখনো কোন রোগী দেয়া হয়নি।
কর্মকর্তাদ্বয় আরও বলেন, লিকুইড সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে সিলিন্ডার পদ্ধতিতে একবারে ১২টি সিলিন্ডার লাগে। অর্থাৎ একবারে ৯৬ হাজার লিটার লাগে। ৩ ভাগে এ অক্সিজেন ভাগ করা হয়। এর এক ভাগ থাকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে। এক ভাগ পাইপ লাইনে আর এক ভাগ থাকে নন রিব্রিদার মাস্কে। নন রিব্রিদার মাস্ক দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন দেয়ার কারণে পরিমাণ কম লাগছে। হাইফ্লো নেজালের মাধ্যমে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি খরচ হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ ট্যাংকি অক্সিজেন প্লানে যুক্ত করা হবে। তখন ৮৪ লাখ লিটার অক্সিজেন থাকবে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে। ইতিমধ্যে সকল ওয়ার্ডে অক্সিজেন লাইন লাগানোর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। এতোদিন ছিল ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৩শ’ ২৫টি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে। এক একটি ছোট সিলিন্ডারে অক্সিজেন থাকে ১৪শ’ লিটার। এতে করে ৫ লাখ ৮৫ হাজার লিটার অক্সিজেন থাকতো ছোট সিলিন্ডারে। প্রতিদিন ১শ’ ৫০টি ছোট সিলিন্ডারে ২ লাখ ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন খরচ হয়।