ঝিকরগাছা তুলা উন্নয়ন বোর্ড জনবল সংকটে ধ্বংসের পথে

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ ঝিকরগাছার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বেহালদশা। জনবলের অভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পদ আজ ধ্বংসের মুখে। রবিবার দুপুরে তুলা উন্নয়ন বোর্ডে গিয়ে একমাত্র গার্ড রমজান আলী ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যাযনি। উপজেলার হাজিরালীতে যশোর-বেনাপোল সড়কের পাশে ১ একর জমির ওপর অবস্থিত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ঝিকরগাছা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিসটি। এখানে একটি জিনিং অফিস ও ২ টি ইউনিট অফিস রয়েছে। কিন্তু ৩ টি অফিসে জিনিং অফিসার, সহকারী কটন অফিসার, স্টোর কাম ফিল্ডম্যান, দারোয়ান, গার্ডসহ বিভিন্ন পদের অন্তত ৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী কম রয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে অফিসে সহকারী জিনিং অফিসার ১জন, ২ জন ইউনিট অফিসার, জিনিং ম্যাকানিক ১জন ও মাত্র একজন গার্ড রয়েছেন। ফলে কম সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, দারোয়ন ও নৈশপ্রহরী দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পদ আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ তুলা চাষি ও কৃষকরা। জনবলের অভাবে তারা ঠিক মত কৃষকদের নিয়ে কাজ করতে না পারায় তুলা চাষ দিনদিন কমে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া তুলা সংরক্ষণের গোডাউনের ছাদের বিভিন্ন অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গোডাউনটি সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বেশি ক্ষতির আশংকা রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস কক্ষেরও বেহালদশা লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তুলা উৎপাদন কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বীজতুলা জিনিং ও আশতুলা বেলিং মেশিন, বিভিন্ন ধরনের ওজন স্কেল, মেশিন, জানালা-দরজার গ্লাস, গোডাউন, অফিস কক্ষসমূহ অব্যবহৃত থাকায় ময়লা আবর্জনা জমেছে। রোদবৃষ্টির কারণে মেশিনগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে সম্প্রতি মেশিন রুমের কয়েকটি টিন লাগানো হলেও জানালাগুলো ঠিক করা হয়নি।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী জিনিং অফিসার (এজিও) জাবেদ আলী জানান দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিষ্ঠানে কিছু জনবল সংকট রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি। সরকার যদি প্রয়োজন মোতাবেক জনবল কাজে লাগিয়ে এলাকার কৃষকদের তুলা চাষের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে তাহলে আবারো এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক তাদের জমিতে তুলা চাষ করে বছরে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবে বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন।