শার্শার বাগুড়ী বেলতলায় সরকারি জমির ফলের বাজার থেকে কমিশন তোলে সিন্ডিকেট

0

নাভারণ (যশোর) সংবাদদাত্ া॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী বেলতলায় রাস্তার দু ধারে বৃহৎ পাইকারি ফলের বাজার ২০ বছর ধরে ইজারাবহির্ভূত থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এই সুযোগে বাজারের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন ভাবে ফল চাষি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। ফলে বাজারটি ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করার দাবি করেছেন স্থানীয় জনগণ, ফল চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে অবস্থিত বাগুড়ী বেলতলা বাজারটি বসে সরকারি রাস্তার (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) দুই ধারে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির আম আমদানি হয় এই বাজোরে। এ আমের বাজার চলে তিন মাস ধরে। এখানে আম কিনতে ঢাকা, শরিয়তপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ শ পাইকার আসেন। প্রতিদিন এ বাজার থেকে ৭০/৮০’ ট্রাক আম লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ বাজারে আমদানি হয় ১২শ হেক্টর জমির কুল ও ১ হাজার হেক্টর জমির পেয়ারা। কুলের মৌসুমে বাজার চলে তিন মাস। এখান থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ ট্রাক কুল যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পেয়ারা প্রায় সব সময় চলে এবং এছাড়াও লিচুসহ অন্যান্য ফল বেচাকেনা হয় এ বাজারে।
বাজারে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় ২শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। অভিযোগ আছে এখানে সিন্ডিকেট চক্রটি সরকারি রাস্তার দুই ধার থেকে বিভিন্ন ফলের হাজারে ১শ টাকা, ক্যারাট প্রতি ২৫ টাকা, লেবার ও ট্রাক প্রতি ৩শ টাকা কমিশন কাটে চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এবাজারে সিন্ডিকেট চক্রটি বিরাট অংকের টাকা লেনদেন করে থাকে। বাজারটি সরকারি ইজারাভুক্ত হলে সরকার পাবে বিপুল অংকের রাজস্ব আর মুষ্টিমেয় সিন্ডিকেট চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাবে চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, বাগআঁচড়া বাজার সংলগ্ন আমাদের প্রত্যেক বছর যে সিজন্যাল আমের হাটটি বসে এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় কিছু মানুষের আবেদন পেয়েছি। এটা যদি ইজারা দেওয়া হয় অথবা রাজস্ব আদায় করা হয় সেক্ষেত্রে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।