এই সময়ে অক্সিমিটার কেন ঘরে রাখবেন?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মৃত্যু মিছিল। জানা গেছে, যে সব করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছেন এই মুহূর্তে গুরুতর জটিলতা হলো শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া। আর সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট চিকিৎসা না করাতে পারলেই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।
রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কখন কেমন থাকবে, তা বোঝা যাবে কীভাবে-এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের দাবি বাড়িতে একটা ভালো অক্সিমিটার রাখতে হবে। অক্সিমিটার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কখন কেমন থাকছে তার সম্পর্কে আপনাকে অবগত রাখবে। তাই নিজেকে আপডেট রাখতে সঙ্গে অক্সিমিটার রাখা জরুরি। অক্সিমিটারের মধ্যে একটি হচ্ছে পালস অক্সিমিটার।
পালস অক্সিমিটার হলো একটি ছোট ডিভাইজ যেটা একটা কাপড় মেলার ক্লিপের মতো দেখতে। এই ডিভাইজে হাতের একটা আঙুল ঢুকিয়ে রাখার জায়গা রয়েছে। যার সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কেমন তা ছোট স্ক্রিনে ফুটে উঠবে (SpO2 পরিমাপে সংখ্যা দেখাবে)। বেশিরভাগ সুস্থ মানুষদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের ওপরে থাকে।
আর যাদের শরীরে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের ৯৫ শতাংশের নিচে নামতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও ডিভাইজটি প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটের মধ্যে একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য হৃদস্পন্দনের মাপ দেখাতে পারে।
তবে শ্বাসকষ্ট যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। কারণ এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা, তাতে সবই যে হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে এমনটা বলা যায় না। ফলে মহামারির সময়ে সকলে যদি নিয়মিত নিজেদের অক্সিজেনের মাত্রা নিজেরাই দেখে রাখেন তাহলে তার থেকে কিছুটা হলেও রোগীকে রক্ষা করা যেতে পারে।
বাড়িতে পালস অক্সিমিটার রাখা আপনার জন্য নিরাপদ, কারণ এই মহামারির সময়ে নিজের শরীরে অক্সিজেন লেভেল আপনি সহজেই দেখে নিতে পারবেন। আর যদি শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখেন তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। মোট কথা এই সময়ে বাড়িতে অক্সিমিটিার থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়।