যশোর পৌরসভার জ্বালানি তেলের দেনা ৬১ লাখ টাকা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর পৌরসভার ব্যবহৃত গাড়ির তেল ক্রয় বাবদ বকেয়া রয়েছে ৬১ লাখ টাকা। জ্বালানি তেল পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিরউদ্দিন ওই বিশাল অঙ্কের টাকা পৌরসভার কাছে পাবে। বকেয়া পরিশোধ হয় না বলে মাঝে মাঝে পাম্প কর্তৃপক্ষ তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন কিছু শোধ করে দেন-দরবার করে আবার তেল নেয় পৌরসভা।
সূত্র মতে, যশোর পৌরসভায় ১৩টি ময়লাবাহী গাড়ি, ১টি এক্সেভেটরসহ ও ৩টি জিপ গাড়িতে তেল ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সোর্স মনির উদ্দিন তেল পাম্পের সাথে পৌরসভার চুক্তি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী পাম্প কর্তৃপক্ষ সরবরাহ অব্যাহত রাখলেও সময়মতো বিল পরিশোধ করে না পৌর কর্তৃপক্ষ ফলে, বকেয়ার পরিমাণ বাড়তেই থাকে। সূত্র মতে, সদ্য বিদায়ী মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বিল বকেয়া ছিল ৬১ লাখ টাকা। পৌরসভার গাড়ি বহর সংরক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে নিয়োজিতদের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন অবশ্য দাবি করেন, সদ্য বিদায়ী মেয়রের আমলে বকেয়া ৩৫ লাখ টাকা এবং এর আগের মেয়র মারুফুল ইসলামের আমলের বকেয়া ২৬ লাখ টাকা। একটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী আগে পৌরসভার আয় কম ছিল, প্রজেক্ট তেমন ছিল না কিন্তু সদ্য বিদায়ী মেয়রের আমলে বিপুল পরিমাণ টাকার উন্নয়ন হয়েছে এবং বিভিন্ন দিক থেকে আয় বেড়েছে। অথচ, এ সময় তিনি বকেয়া শোধ না করে আরো বৃদ্ধি করেছেন। কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, মাঝে মাঝে তেল পাম্প কর্তৃপক্ষের সাথে দেন-দরবার করতে হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো তাড়াতাড়ি পৌরসভার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জ্বালানি তেলের বিশাল অঙ্কের বকেয়ার কথা স্বীকার করেছেন পৌর সচিব মো. আজমল হোসেন।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, তেলের বকেয়া সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তিনি আরো বলেন, ৯১ কোটি টাকা দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি চেষ্টা করবেন, রাজস্ব আয় থেকে ঋণ শোধের সরকারের কাছ থেকে কোন রকম বরাদ্দ এনে দেনা কমানো এমনকি প্রয়োজনে অস্থায়ী কর্মী কিছু ছাঁটাই হতে পারে।