লোকসমাজ ডেস্ক॥ সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। যার জন্য ব্যয় হবে ৫২৭ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৪ টাকা। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮ম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এতে মোট অর্থের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৯০১ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সস্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।
তিনি বলেন, ক্রয় কমিটিতে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি কেনার দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটবইউ এলএনজি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ সর্বমোট ২৭৮ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার ১২৪ টাকায় অটো ট্রেডিং এজি সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এলএনজির প্রতি ইউনিট দাম কত হবে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ড থেকে এলএনজি প্রতি এমএমবিটিইউ দাম পড়বে ৮.৩৪৫ মার্কিন ডলার। সিঙ্গাপুর থেকে যেটা আনা হচ্ছে সেটার দাম ৭.৪৪২১ মার্কিন ডলার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ সর্বমোট ২৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮০ টাকায় সিঙ্গাপুরের ভাইটোল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবটির বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সিঙ্গাপুরের যে প্রতিষ্ঠান থেকে এলএনজি কিনব সেটা হলো ভাইটোল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানি সম্পর্কে আমাদের কিছু কিছু তথ্য নজরে এসেছে তা আমরা বলেছি৷ এই কোম্পানিটি কালোতালিকাভুক্ত কোম্পানি। এ ধরনের তথ্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। নেটেও এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি। তাই মিডিয়ার ভাইদের বলব আপনাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের মন্ত্রণালয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এছাড়া বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট) নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ-২ এর পূর্তকাজ মো. মঈনউদ্দীন (বাঁশি) লিমিটেডের কাছ থেকে ১৩৬ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৭ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।