আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়কের দু ধারে অবৈধ কাঁচাবাজার : যানজটে চলাচল স্থবির

0

শহিদুজ্জামান চাঁদ, শালিখা (মাগুরা) ॥ শালিখা উপজেলার আড়পাড়া থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দু ধারে অবৈভাবে কাঁচাবাজার বসায় যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এই সড়কে চলাচলকারী নসিমন ও করিমনও স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। ফলে আড়পাড়া-কালিগঞ্জ ব্যস্ততম সড়কটিতে সব সময় লেগে থাকে অসহনীয় যানজট। আড়পাড়া থেকে কালিগঞ্জগামী যাতায়াতের রাস্তা দখল হওয়ায় প্রতিদিনই যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তা দখল করে বসছে কাঁচাবাজার। সড়কটির দু ধার দখল করে রেখেছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদিকে আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়কটির অর্ধেক রাস্তা দখল করে আছেন বাবু মনোজ কান্তি নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি রাস্তা দখল করেই ্যান্ত হয়নি মানুষের হাঁটাচলা করার মূল কালিগঞ্জ সড়কে তারের বেষ্টনি দিয়ে রেখেছেন। এ ব্যাপারে মনোজ কান্তি বলেন, ‘এই জায়গা আমার, তাই আমি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছি। আমি তারের বেড়া থেকে আরও ৫ফুট ওই দিকে পাবো। রাস্তা কম্পিলিট হয়ে গেলে আমি প্রাচীর দিয়ে দেব। আমি গত ২০ বছর ধরে ঘিরে রেখেছি তখন কেউ কিছু বলিনি, এখন কেন বলছে বুঝতে পারছি না।’ অপরদিকে ওই রাস্তাটি আড়পাড়া হয়ে কালিগঞ্জ পর্যন্ত দু-ধার দখল করে রেখেছেন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। সকাল ৮টায় হাটবাজার বসে চলে রাত পর্যন্ত। এছাড়া রাস্তা দখল করে নসিমন, করিমন ও ইজিবাইকে অবৈধ স্ট্যান্ড বানানোর কারণে সব সময় লেগে থাকে জটলা।
স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক মো. কবির বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বছরের পর বছর ধরে রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আড়পাড়া বাজারটি রাস্তা দখল করেই বানানো হয়েছে হাট বাজার ও দোকান পাট। এখন বাজার কর্তৃপও চেষ্টা করছেন আরও রাস্তা দখল করে বাজারের পরিধি বাড়াতে। আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে রাস্তায় বাজার বসিয়ে এখন স্থায়ী বাজার বানিয়ে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। আড়পাড়া হাট বাজারের ইজারাদার শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, হাট বাজারের জন্য সরকারি ভাবে কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। সে কারণে বাজার রাস্তার ওপর বসে। তিনি আরও বলেন আড়পাড়া হাট বাজার ২৫ লাখ টাকারও বেশি দিয়ে ইজারা নিতে হয়। অথচ এই হাটের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। যা খুবই দঃুখজনক। আড়পাড়া বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমোর্তজা মোলা বলেন, এই বাজারের স্থায়ী কোনো জায়গা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি ভাবে বাজারের জায়গা থাকলে এমনটা হয়তো হতো না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মো. বাতেন বলেন,‘ ইতোমধ্যে শালিখায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই এ অভিযান সফল হবে। আর যারা সরকারি রাস্তা দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’