যশোরে বিএনপি নেতা মুন্নার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর শহরের লালদীঘির পূর্বপাড়স্থ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা এহসানুল হক মুন্নার বাসায় গত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এহসানুল হক মুন্নার স্ত্রী সোহানা হক জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কোন পুরুষ বাসায় ছিলেন না। তাদের দুটি কক্ষে ছিল সকল মালামাল। ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ফার্নিচার, দু’টি ফ্রিজ, ৪টি ল্যাপটপ, টি-ট্যাব, একটি বড় এলইডি টিভি, সাধারণ টিভি, ওভেন, নগদ ১০ হাজার টাকা ও ১০ লাখ টাকার মূল্যবান শাড়িসহ অন্যান্য মালামাল। সবই আগুনে ভষ্মীভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব নিরূপণ করতে পারছেন না কেউ।


জোবাইদা হক জানান, তিনি এশার নামাজ আদায় করছিলেন। আকস্মিকভাবে বিদ্যুতের আলো নিভে যায়। পরে দেখতে পান দক্ষিণ পাশের যে ভবনে তিনি থাকেন তার উত্তর দিকে মুন্নার দুটি কক্ষে আগুন জ্বলছে। ব্যাপক ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ অবস্থা দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে ৩টি গাড়ি এসে পানি দেন। আধাঘন্টা ধরে পানি দেয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন। বিষয়টি আরো তদন্ত করে জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা। পুড়ে যাওয়া ভবনের দেয়ালের পেছনে রয়েছে একটা দরজা। সেখান থেকে পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন লাগিয়েছে কিনা তাও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সোহানা হক জানিয়েছেন, তাদের পুরুষানুক্রমে যে সম্পদ সঞ্চয় করা রয়েছে তার মূল্য ২৫ লাখ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা। ওইসব সম্পদ, পাসপোর্টসহ মূল্যবান কাগজপত্র সবই পুড়ে গেছে। কিছুই অবশিষ্ট নেই।