যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল : ১২টি ভেন্টিলেটর আসলেও উপকরণ নেই, ছয়মাসেও চালু হয়নি আইসিইউ ওয়ার্ড

0

বিএম আসাদ ॥ সংকটাপন্ন রোগীর পরিচর্যাকেন্দ্র ইনসেনটিভ কেয়ার (আইসিইউ) চালু করার জন্য গতকাল যশোরে আরো ৪টি ভেন্টিলেটর এসেছে। এ নিয়ে মোট ভেন্টিলেটরের সংখ্যা দাঁড়াল ১২টি। এদিকে, ভেন্টিলেটর দেয়া হলেও। প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ না করার কারণে আইসিইউ ওয়ার্ডটি চালু করা যাচ্ছে না। গত ৬ মাস ধরে এ ওয়ার্ড রোগী শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, গতকাল ঢাকা থেকে যশোরে ৪টি ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএডি) হতে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে ২টি ও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২টি ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়। আইসিইউ চালু করার জন্য ভেন্টিলেটরের সাথে প্রয়োজন হয় মনিটর, এজিবি মেশিন ও হাইফো-নেজাল অক্সিজেন। ভেন্টিলেটরের সাথে এসব উপকরণ পাঠানো হয়নি সিএমএসডি থেকে। ফলে, তা স্থাপন করা যাচ্ছে না। এভাবে কালক্ষেপন করা হচ্ছে গত ৬ মাস ধরে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে দ্বিতীয় তলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট (আইসিইউ) ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত ৮টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়েছে। এর ভেতর ৬টি ভেন্টিলেটর ইউনিটে স্থাপন করা হলেও ৩টি ভেন্টিলেটরে হাইফো নেজাল অক্সিজেন সংযোগ দেয়া হয়েছে। সংযোগ দেয়া হয়েছে অক্সিজেন প্লান্টের। যেখানে মুমূর্ষু রোগীদের কেবল জরুরি প্রয়োজনে হাইফো নেজালের মাধ্যমে দ্রুত অক্সিজেন দেয়া যেতে পারে। অথচ, চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি এ ইউনিটে। ৬টির মধ্যে আছে। দু’টি ভেন্টিলেটর রাখা হয়েছে হাসপাতালের স্টোরে। এই হচ্ছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৮টি ভেন্টিলেটরের অবস্থা। যা যশোরের সংকটাপন্ন রোগীদের কোন কাজে আসছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের অভাবে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউ চালু করার কাজ চলছে ধীরগতিতে।
সূত্র জানিয়েছেন, যশোরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আইসিইউ-এর সংকট প্রকট। ইবনেসিনা হাসপাতালে ৩টি ও আদ্-দীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২টি মিলে ৫টি আইসিইউ রয়েছে যশোরে। তবে, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-সেবিকাসহ দক্ষ জনবলের অভাবে অধিকাংশ সময় বন্দ থাকে। জরুরি প্রয়োজনে রোগীর উপকারে আসে না। আবার চালু হলেও রোগীর ভীড়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে পারেন না। এ অবস্থায় যশোরবাসীর অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা মেটাতে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কয়েক মাস আগেই দেয়া হয়েছে। ৮টি ভেন্টিলেটর। সবশেষ, যশোরে সরকারিভাবে আরো ৪টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন ২টি ভেন্টিলেটর নিয়ে এ হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা হয়েছে ১০টি। সিভিল সার্জন অফিসের ২টি ভেন্টিলেটর হাসপাতালে দেয়া হলে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা হবে ১২টি। এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায়ের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, চিকিৎসক ও সেবিকা প্রশিক্ষণ দিয়ে আসলে আইসিইউ স্বল্প পরিসরে হলেও চালু করা যাবে। তাতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।