যবিপ্রবিকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারার দাবি এক পক্ষের শিক্ষক সমিতির সভায় হট্টগোল, মারমুখি আচরণ

0

হট্টগোল, গালিগালাজ ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানসহ নানাবিধ কারণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)তে শিক্ষক সমিতির সভা বন্ধ হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ড. মো. আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন সমিতির বেশ কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় সাধারণ সম্¤াদক ও তার গ্রুপের শিক্ষকরা এমন মারমুখি আচরণ করেছেন বলে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, গতকাল বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি ড. তোফায়েল আহমেদ সভার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা যারা করছে এবং তারা আবারও ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তারা বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন কনিষ্ঠ ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অকথ্য, নোংরা ও অশালীন ভাষায় আক্রমন করেছে এবং মারতে উদ্যত হয়েছে। সাধারণ সভা চলাকালে, ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো. ফিরোজ কবির আলোচনার এক পর্যায়ে একটি প্রিন্টেড একটি কাগজ দেখিয়ে অভিযোগ করেন যে, তাকে শিক্ষক সমিতির সম্মিলিত ফেসবুক গ্রুপ থেকে ব্লক করা হয়েছে, যার এডমিন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন। ফিরোজ কবিরসহ বেশিরভাগ শিক্ষকই অভিযোগ করেন যে, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সব সময় ভুল তথ্য ছড়িয়ে অপরাজনীতি করেছেন। ফিরোজ কবির অভিযোগ করেন যে, তিনি শুধু সাধারণ সম্পাদকের ভুল তথ্যের উত্তর দিয়েছিলেন, আর তাতেই তার কণ্ঠ রোধ করতে তাকে ব্লক করেছে। তিনি এর উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন। তখন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. জাফিরুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকগণও এই অন্যায়ের বিচার চান। তখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ তার সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষক জোটবদ্ধ হয়ে বিচার প্রার্থী শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে গালি দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন ফেসবুক গ্রুপ থেকে বহিস্কার তো সাধারণ বিষয়। তারা ভুক্তভোগীদেরকে শিক্ষক সমিতিতেই অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেন। এতে ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয় এবং সমিতির সভাপতি ড. তোফায়েল আহমেদ দ্রুত সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। -বিজ্ঞপ্তি