মনিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি: উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় বিএনপি প্রার্থী আনন্দমুখর প্রচারণায় আ.লীগ

0

মজনুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর) ॥ আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য যশোরের মনিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনের শেষপর্যায়ে তিন মেয়র প্রার্থী ও ৪৮ কাউন্সিলর প্রার্থী জোর প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রচারণাসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অপরদিকে আনন্দমুখর পরিবেশের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে তিন মেয়র প্রার্থী থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ, ধানেরশীষ প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে এবং একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে ভোটের মাঠে না যেতে। অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দাবি, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। সহকারি রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহিদুর রহমান জানান, মনিরামপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় মোট ভোটার ২২ হাজার ৯৬৫। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৮৩৬ ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ১২৯ জন। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ১৫ ও ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রচারণায় রয়েছেন।
তিন মেয়র প্রার্থী হলেন-আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, বিএনপির ধানের শীষে অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে আবু তালেব। আর এই প্রার্থীরা রাত-দিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এলাকায় এখনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। মোট ৪৮ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন রয়েছেন বিএনপি ঘরোনার। বাকি প্রার্থীরা আওয়ামী ঘরোনার। ফলে ভোটারদের এবার কদর বাড়ছে। তবে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত তার ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রতীকের লোকজন হামলা ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ভোটের মাঠে না যেতে। যে কারণে ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা বর্তমানে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান এ অভিযোগ নাকচ করে জানান, বর্তমান (তার আমলে) পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পরাজয় বুঝতে পেরে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাস্টার আবু তালেব জানান, নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। তার দাবি, ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের। সহকারি রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহিদুর রহমান এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রার্থীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।