বৈষম্যের অভিযোগ এনে যবিপ্রবি দিবস বর্জন শিক্ষক সমিতির

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর ১৪ তম দিবস বর্জন করলো প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সমিতি। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজন করলেও সেখানে অংশ নেননি শিক্ষক সমিতির নেতারা। যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. এস.এম নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যবিপ্রবি শিক্ষকদের সাথে নানা বৈষম্য নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি সবিস্তার আলোচনা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে এর প্রতিবাদে যবিপ্রবির ১৪ তম দিবস বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বৈষম্যের বিষয়ে ৭ টি কারণ স্পষ্ট করেন। কারণগুলো হলো, রিজেন্ট বোর্ডের ২৩ তম সভার ২৯ তম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২ জুলাই ২০১৭ থেকে প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক পদে সকল শিক্ষকের আপগ্রেডশন/পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা প্রদানে অনিয়মতান্ত্রিকতা, শিক্ষকদের নিয়োগ/পদোন্নতির নিয়োগপত্রে চাকুরি নিশ্চিতকরণের জন্য যবিপ্রবি নীতিমালা বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশের শর্ত প্রদান। ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্স (সান্ধ্যকালীন নয়) ডিগ্রি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেচনা না করার শর্ত প্রদান, সকল শিক্ষকের ধারবাহিকভাবে/অধারাবাহিকভাবে শিক্ষা ছুটি (মাস্টার্স, পিএইচডি ও পোস্টডক) প্রদানে অনিয়মতান্ত্রিকতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্যান্য পাবলিক /সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সময়োপযোগী শিক্ষা উপকরণ ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ডিজিটাল ডিভাইসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির ব্যবস্থা না করা এবং ১৪ নভেম্বর ‘শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভিসি কর্তৃক উচ্চমানের গবেষকদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা। এসব কারণে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় যবিপ্রবি ১৪তম দিবস বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির নেতারা যে দাবি করছেন তা একেবারেই অযৌক্তিক। তারা মাত্র কয়েকজন যবিপ্রবির গৌরবময় অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালের মধ্যে সীমিত পরিসরে আজকের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগের ডিনসহ প্রায় সকলে অংশ নেন। মাত্র ৪/৫ জন অংশ না নিয়ে তারা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।