যশোরে করোনা টিকা আসার দিন না জানলেও প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা টিকা কবে নাগাদ যশোরে আসবে সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখছি ভারত থেকে করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। খুব দ্রুত সময়ে এটি বিতরণ করা হবে। তবে যশোর জেলায় কবে পৌঁছাবে তা এখনও নিশ্চিত নই। তবে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হচ্ছি। ভ্যাকসিন আসলে কোথায় রাখতে হবে বা কারা আগে পাবে সে বিষয়ে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং গর্ভবতী মহিলা তারা এ টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পূর্নাঙ্গ গাইড লাইন এখনো আসেনি। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. প্রতিভা ঘরাই বলেন, ভ্যাকসিন আসবে এবং তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে এমনটা চিন্তা করেই আমরা আগেভাগে প্রস্তুত হচ্ছি। ইতিমধ্যে সুবিধাভোগীদের তালিকার কাজ চলছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের সহযোগিতায় এসব তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে টিকা আসার পর যাতে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করতে পারি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও করোনা টিকা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। তবে কবে টিকা যশোরে আসবে সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ভালো বলতে পারবেন। তবে আমরা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তালিকা তৈরির কাজ চলছে। করোনা টিকা আসলে যাতে সেটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে কাজ চলছে। উল্লেখ্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ‘কভিশিল্ড’র ৫০ লাখ ডোজ গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছে। বেলা ১১টার দিকে টিকা বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এছাড়া গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে।