চৌগাছায় সরকারি বাওড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৪টি মেশিন ও ৫টি বাইসাইকেল জব্দ

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) যশোরের চৌগাছার সরকারি বাওড় মৎস্য প্রকল্পের অধীন বেড়গোবিন্দপুর বাওড় থেকে অবৈধভাবে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত চারটি মেশিন ও বালু উত্তোলনকারীদের ফেলে যাওয়া ৫টি বাইসাইকেল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এম. এনামুল হক এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এ সময় বাওড়ের মধ্য থেকে ব্রিজের পূর্বপাশে চলমান অবস্থায় ৪টি মেসিন ও বালু উত্তোলনকারীদের ফেলে পালিয়ে যাওয়া ৫টি বাইসাইকেল জব্দ করেন ।
ভ্রাম্যমান আদালত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌগাছা-বেড়গবিন্দপুর সড়কে বাওড়ের উপর একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজটি থেকে ১৫০/২০০ ফিট পূর্বদিকে বাওড়ের মধ্যে চারটি মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। যার ফলে ভবিষ্যতে ব্রিজটির স্থায়ীত্ব হুমকির মুখে পড়ে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের বাঁধা থাকলেও বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারছিল না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এম. এনামুল হক এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনছার বাহীনি নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি বাওড় ব্রিজ সংলগ্ন সড়কে পৌছা মাত্রই বুঝতে পেরে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ব্যাক্তিরা পালিয়ে যায়। এ সময় মেশিন চালু ছিল ও তাদের ব্যবহৃত ৫টি বাইসাইকেল ফেলে রেখে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের রেখে যাওয়া কয়েকশত মিটার পাইপসহ ৪টি মেশিন এবং ৫টি বাইসাইকেল জব্দ করেন। এ সকল মালামাল উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এম. এনামুল হক বলেন বালু উত্তোলনকারীদের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ ৪টি মেশিন ও ৫টি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে বাওড়ের অপরপাশে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত শাহজাদপুর ও আজমতপুর গ্রামের পাশের্^ বিপুল পরিমান বালু জব্দ করা হয়। সে খান থেকেও বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। তবে ভ্রাম্যমান আদালত ফিরে আসার পর ওই স্থানের বালু উত্তোলনকারীরা তাদের ১২টি মেশিনের মধ্যে থেকে কয়েকটি বাওড় থেকে সরিয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার বাওড়ের এপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সংবাদ পেয়ে ওপারে থাকা অবশিষ্ট মেশিনও সরিয়ে নিয়েছেন বালু উত্তোলনকারীরা। অন্যদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বালু জব্দ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিলেও উত্তেলনবারীরা মঙ্গলবারও ওইসব বালুর স্তুপ থেকে বালু বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।